Wed. Apr 23rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

19kখােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০১৭: ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংলিশদের হারিয়ে বাংলাদেশ গড়েছিল ইতিহাস।প্রথমবারের মতো পৌঁছে কোয়ার্টার ফাইনালে। দেশের মাটিতে প্রথমবার ইংল্যান্ডকে হারিয়ে টেস্টেও টাইগারদের একই গর্জন। আজ সেই ইংলিশদের মুখোমুখি হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তবে তাদের মাটিতে। এবারও মাশরাফি বিন মুর্তজার দলে আছেন রুবেল হোসেন, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদরা। জিতলেই আরেকটি ইতিহাস। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার দাবি টিম বাংলাদেশ নিজেদের দিনে যেকোনো দলকে হারাতে পারে। তার জন্য তিন বিভাগেই দিতে হবে নিজেদের উজাড় করে। ওভাল স্টেডিয়ামে ইংলিশ বধের মিশনে নামার আগে ২০১১ ও ২০১৫’র বিশ্বকাপ হতে পারে টাইগারদের অনুপ্রেরণা।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল প্রথম ওয়ানডে খেলে ২০০০ সালে। এরপর কেটে গেছে ১৭ বছর। এই পর্যন্ত ১৯ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। এর মধ্যে প্রথম জয় আসে ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে। সেই ম্যাচে টাইগাররা ২৩৬ করেও জিতেছিল ৫ রানের ব্যবধানে। এরপর দ্বিতীয় জয় ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মাটিতে চট্টগ্রামে। ইংলিশদের মাত্র ২২৫ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল টাইগারররা। শেষ মুহূর্তে হারের শঙ্কাতে পড়লে পেসার শফিউল ব্যাট হাতে দলকে ২ উইকেটের জয় এনে দেন। তৃতীয় জয় ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। ও শেষটি ২০১৬ সালে চট্টগ্রামে।

সবচেয়ে বড় বিষয় বাংলাদেশের এ চার জয়ের নায়করা এবারও আছেন দলে। বিশেষ করে প্রথম জয়ে দলে থাকা তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে দ্বিতীয় জয়ের নায়ক মুশফিকুর রহীম, শফিউল ইসলাম আছেন বর্তমান দলে। এমনকি তাদের সঙ্গে রয়েছেন তৃতীয় জয়ের দলে থাকা সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমানও। সেই সঙ্গে আছেন শেষ জয়ে দলে থাকা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও তাসকিন আহমেদ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের নায়কদের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছেন টেস্ট জয়ের অন্যতম কারিগর স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। ইংলিশদের বিপক্ষে এখনও খেলার সুযোগ না হলেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে আরো দুই টাইগার আছেন যারা বল হাতে দারুণ কিছু করে দেখাতে পারেন। এর মধ্যে অন্যতম কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। যাকে আটকাতে বিশ্বের যেকোনো দল এখন ছক আঁকে। সেই সঙ্গে স্পিনে দলে নবাগত সানজামুল ইসলামও রাখতে পারেন বড় ভূমিকা।

প্রথম ম্যাচে ইংলিশদের বিপক্ষে কেমন হতে পারে টাইগারদের একাদশ? অধিনায়ক মাশরাফির সঙ্গে তার ডেপুটি হিসেবে থাকবেন সাকিব আল হাসান। একজন সামলাবেন পেস বিভাগ অন্য জন স্পিন। মাশরাফির সঙ্গে পেস আক্রমণে রুবেল হোসেনের বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে থাকছেন মোস্তাফিজুর রহমানও। যদি চতুর্থ পেসার কাউকে বিবেচনা করা হয় তাহলে শফিউলকে এগিয়ে রাখা হচ্ছে। কারণ, ইংলিশ কন্ডিশনে তাসকিন তার পারফরম্যান্সের সেরাটা এখনো দেখাতে পারেননি। তবে চার পেসার খেলার সম্ভাবনা কম। সাকিবের সঙ্গে স্পিনে সানজামুল নাকি মিরাজ! এ ক্ষেত্রে হয়তো প্রথম ম্যাচে সুযোগটা পাবেন মিরাজই। তিন পেসারের সঙ্গে দুই স্পিনার।

এর মধ্যে সাকিব ও মিরাজ অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতেও তারা দারুণ কিছু করার ক্ষমতা রাখেন। বাকি থাকলো ছয় জন স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান। ওপেনিংয়ে তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। ইমরুল কায়েসকে সুযোগ দেয়া হবে কি না সে নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন! তিন নম্বরে সাব্বিরের সম্ভানাটাই বেশি। এরপর যথারিতী মুশফিকুর রহীম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও সঙ্গে মোসাদ্দেক। এখানে সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক ও মাহমুদুল্লাহ বল হাতেও দলের জন্য অবদান রাখার ক্ষমতা রাখেন।