Mon. Jun 16th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

42kখােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০১৭: সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসটা খারাপ হলো না। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ইংলিশদের সামনে ৩০৬ রানের টার্গেট ছুড়ে দিল বাংলাদেশে। শেষের দিকে বেশি উইকেট যাওয়ায় বাংলাদেশের খরচ হয়েছে ৬ উইকেট। যার পেছনে তামিম-মুশফিক জুটির মহিমা। নিজের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে এমন আক্রমণ আশা করেনি ইংল্যান্ড। তারা ম্যাচের আগে নিজেদের ফেবারিট দাবি করেছিল। এবার টাইগার বোলারদের পালা। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব। বল হাতে সফল তো হতে পারেন। এছাড়া মাশরাফি, মুস্তাফিজ, রুবেল, মোসাদ্দেকরা তো আছেন। ৩০০+ রান করার পর নিশ্চয়ই জয়ের স্বপ্নে বিভোর থাকবে সবাই।

বৃহস্পতিবার লন্ডনের কেনিংটন ওভালে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ধীর শুরু করলেও দলকে পঞ্চাশোর্ধ উদ্বোধনী জুটি উপহার দেন তামিম-সৌম্য। একপ্রান্তে ধীরস্থির খেলতে থাকেন তামিম। অপর প্রান্তে আস্তে আস্তে খোলস ছেড়ে বের হন সৌম্য। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৬ রান আসার পর ছন্দপতন! অলরাউন্ডার বেন স্টোকসের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে যান ৩৪ বলে ৪ বাউন্ডারি এবং ১ ওভার বাউন্ডারিতে ২৮ রান করা সৌম্য। এর আগে মঈন আলীর কল্যাণে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি।

স্বভাবসুলভ বিধ্বংসী ভঙ্গিতে খেলতে থাকা সৌম্য সরকারের বিদায়ের পর খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। তার ব্যাটে দেখা যায় শটের ফুলঝুড়ি। সঙ্গী হিসেবে অনেকদিন পর পান ইমরুল কায়েসকে। ভালোই খেলছিলেন ইমরুল। কিন্তু দলীয় ৯৫ রানে প্ল্যাঙ্কেটের বলে মার্ক উডের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন তিনি। আউট হওয়ার আগে তিনি ২০ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৯ রান করেন।

দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালের প্রতিশব্দ হয়ে উঠছে ‘ধারাবাহিকতা’। নিয়মিত রান আসছে তার ব্যাটে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে ২ উইকেট হারানোর পর দলকে ভরসা দিলেন তিনি। প্ল্যাঙ্কেটকে সীমানাছাড়া করে ৭১ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ক্যারিয়ারের ৩৭তম ফিফটি করেন। এরপর তার যোগ্য সঙ্গী হয়ে আসেন মি. ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম। দুজনে মিলে ইংলিশ বোলারদের ওপর নির্বিচারে আক্রমণ শুরু করেন। মুশফিক এদিন দেখা দেন বিধ্বংসী রূপে। ৪৮ বলে ৪ বাউন্ডারিতে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন। এরপরই ১২৪ বলে ১১ চার এবং ১ ছক্কায় ক্যারিয়ারের ৯ম সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি।

অন্যাপ্রান্তে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকটে জুটিতে এসে গিয়েছিল ১৬৬ রান। এরপরেই একটু ছন্দপতন ঘটে। প্ল্যাঙ্কেটের বলে থামতে হয় তামিমকে। বাটলারের গ্লাভসবন্দী হওয়ার আগে তিনি ১৪২ বলে চার এবং ৩ ছক্কায় ১২৮ রান করেন। পরের বলে ক্যাচ তুলে দেন মুশফিকুর রহিমও! তার ৭২ বলে ৮ বাউন্ডারিতে গড়া ৭৯ রানের ইনিংসটি শেষ হয় হলসের হাতে ধরা পড়ে। উইকেটে ২ নতুন ব্যাটসম্যান সাকিব এবং সাব্বির। যথারীতি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে ১০ রানেই সাজঘরে ফিরেন সাকিব।