খােলা বাজার২৪।। শুক্রবার, ২ জুন, ২০১৭: রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় যুবলীগের এক নেতার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা। সেখানের বাঙালিরা দাবি করছেন, যুবলীগের নেতাকে পাহাড়িরা হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে গেছেন। অভিযোগ অস্বীকার করে পাহাড়িরা বলছেন, বাঙালিরা তাঁদের শত শত বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনায় লংগদু সদরের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্যমতে, নিহত নুরুল ইসলাম উপজেলা সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কে চার কিলো এলাকা থেকে নুরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর বাড়ি লংগদু উপজেলা সদরে। তিনি ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালাতেন। আজ সকাল আটটায় তাঁর লাশ লংগদু বাত্যপাড়া গ্রামে নিয়ে আসা হয়।
ঘটনার পর উপজেলা পরিষদের মাঠে বাঙালিরা সমাবেশ করেন। সমাবেশে বক্তব্য দেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মো. জানে আলম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন, সম-অধিকারের নেতা মো. আফসার আলী ও আলমগীর হোসেন।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল দুজন পাহাড়ি নুরুল ইসলামের মোটরসাইকেল ভাড়া করেন। এরপর থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি অভিযোগ করেন, পাহাড়িরা নুরুল ইসলামকে হত্যা করেছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা শাখার জনসংহতি সমিতির সভাপতি মনি শংকর চাকমা বলেন, পাহাড়িদের দায়ী করে আজ শুক্রবার সকালে বাঙালিরা তিন টিলা ও মানিকজোর ছড়া গ্রামে পাহাড়িদের দুই শতাধিক বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছেন। জনসংহতি সমিতির কার্যালয়ও পুড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর ঘরও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা লংগদুর ইউএনও মো. তাজুল ইসলাম বলেন, লংগদুতে পাহাড়ি-বাঙালির মধ্যে সমস্যা হওয়ার কারণে সদরের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।