খােলা বাজার২৪।। রবিবার, ৪ জুন, ২০১৭: রংপুরের নামকরা বিপনী বিতান জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটের সামনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দোকান শ্রমিকদের সাথে পুলিশের দফায় দফায় হাতাহাতি ও সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ দোকান কর্মচারীরা মার্কেটের সামনে ঈদ উপলক্ষে নির্মিত পুলিশ বক্সটি ভাংচুর করে। তারা দায়ি পুলিশদের বিচারের দাবিতে দোকান পাট বন্ধ করে বিক্ষোভ করে।
পুলিশ জানায়, আজ রোববার সকাল ১০ টার দিকে আল আমিন নামে এক দোকান কর্মচারী সুপার মার্কেটে তার দোকানে আসার সময় পুলিশ বক্সের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক পুলিশ কনষ্টবলের সাথে ধাক্কা লাগে এ ঘটনাকে কেন্দ্র প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে তা হাতাহাতিতে রুপ নেয়। কর্মচারীরা অভিযোগ কওে জানান, পুলিশ ওই দোকান কর্মচারী আল আমিনকে বেদম মারধর করেছে। এ ঘটনা জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ দোকানের কর্মচারীরা দোকানপাট বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। তারা দোষি পুলিশ কর্মকর্তার বিচার না হওয়া পর্যন্ত দোকান পাট বন্ধ রাখার ঘোষনা দেয়।
এ ঘটনায় পুলিশের সাথে কয়েকদফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। কর্মচারীরা দাবি করতে থাকে দায়ি পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার ঘোষনা না দেয়া পর্যন্ত তাদের ধর্মঘট চলবে। এক পর্যায়ে জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক বুলবুলের সাথে পুলিশের কথা হয়। তাকে দোকান পাট খুলে ব্যবসা শুরু করার আহবান জানায় পুলিশ। এর পরেও কাজ না হওয়ায় বেলা ১২ টার দিকে ঘটনা স্থল থেকে পুলিশ সরিয়ে মার্কেটের অদুরে পুলিশ অবস্থান নেয়।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করার তারা চেষ্টা করছেন। সামান্য ভুল বোঝাবুঝির কারনে এ ঘটনা। তার পরেও আমরা বার বার তাদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও তারা মানছেননা। এ ঘটনার পরেও দোকান কর্মচারীরা বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে মাইক যোগে ব্যবসায়ীদের দোকান পাট খুলে দেবার আহবান জানানো হয়। এ ব্যাপারে সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক বুলবুল জানান, আমরা সংঘাত চাইনা, চাই সুষ্ঠু সমাধান।