Wed. Apr 23rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
cec
খােলা বাজার২৪।।বুধবার , ৭ জুন, ২০১৭: সব দলের অংশগ্রহণে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিট থেকে  দুপুর ১২টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বৃটিশ হাইককমিশনারের নেতৃত্বে ৪ সদেস্যর একটি প্রতিনিধি দল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসি কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন। তাদের মধ্যে প্রায় এক ঘণ্টা আলোচনা হয়।

সাক্ষাতে প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- ব্রিটিশ হাইকমিশনের রাজনৈতিক শাখার প্রধান অ্যাড্রিন জন্‌স, রাজনৈতিক বিশ্লেষক এজাজুর রহমান ও ইউকে এইড এর প্রতিনিধি আইসলিন বেকার। স্বাক্ষাতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাত শেষে ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক সাংবাদিকদের বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু দেখতে চায় যুক্তরাজ্য। সে লক্ষ্যে প্রয়োজন সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ। আমরা বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে এসেছি। যাঁরা এ লক্ষ্যে কাজ করছেন তাঁদের সমর্থন জানাতে এসেছি। কমিশনের সঙ্গে ভালো আলোচনা হয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়েও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

পরে এই বৈঠক সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, নতুন কমিশনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার। বৈঠকে রাষ্ট্রদূত আগের কিছু নির্বাচনের নেতিবাচক কিছু দিক তুলে ধরেছেন।

ইসি সচিব বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়নি উল্লেখ করে অ্যালিসন ব্লেক ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের নেতিবাচকতাও তুলে ধরেন। তিনি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন।

মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানান, কমিশনের একই উদ্দেশ্য বলে রাষ্ট্রদূতকে জানান সিইসি। আগামী সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও দেশি-বিদেশি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে চান বলেও উল্লেখ করেন সিইসি। এই নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ইসি সচিব আরো জানান, বৈঠকে সিইসি বলেছেন, আগামী নির্বাচনে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সব দলকে নির্বাচনে আনা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিত স্বাভাবিক রেখে নির্বাচন করা। সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কমিশনের যে দূরত্ব রয়েছে সেটি কমে আসবে এবং সবাই নির্বাচনে আসবে বলেও তিনি আশাবাদী।