খােলা বাজার২৪।। বুধবার , ৭ জুন, ২০১৭: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ ইউসুফ ভুঞার প্রায় ছয়মাস আগে অন্যত্র বদলির আদেশ হলেও তিনি এখনও তার নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেননি।অথচ সেখানে ওই কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।উপপরিচালকের নিকট আতœীয় হওয়ায় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করে তিনি দুই উপজেলায় নিজ ইচ্ছেমত অফিস করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দায়িত্বশীল একটি সুত্র জানায়,চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর মহাপরিচালকের কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক(প্রশাসন) নূর মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত ৩৪.০১.০০০০.০০৫.১৯.২১১.২০১৫-২৮ নম্বর স্বারকে একটি দপ্তরাদেশ জারি করা হয়।আদেশে বলা হয়,পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত ইউসুফ ভুঞাকে সুন্দরগঞ্জ থেকে সাদুল্লাপুরে বদলি করা হলো।সেই সাথে তাকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কার্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়।কিন্তু তিনি উপপরিচালকের নিকট আতœীয় হওয়ায় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশ মানছেন না।
তবে নিকট আতœীয়ের পরিচয় অস্বিকার করে গাইবান্ধার উপপরিচালক তোফায়েল আহম্মেদ দাবি করেন,ইউসুফ ভুঞা কয়েকমাস আগে সাদুল্লাপুর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ইউসুফ ভুঞা দাবি করে বলেন,যেহেতু ওই আদেশে যোগদানের ক্ষেত্রে কোন সময়সীমা পরিস্কারভাবে নির্ধারন করে দেয়া হয়নি।তাই যোগদান করতে বিলম্ব হচ্ছে।তবে আগামি জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে সাদুল্লাপুরে যোগদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সুত্র জানায়,ইউসুফ ভুঞা নিজে অধিদপ্তরে তদবির করে সাদুল্লাপুরে বদলি হন।কারন এই উপজেলায় ন্যাশন্যাল সার্ভিস কর্মসুচির কার্যক্রম ইতোমধ্য শুরু হয়েছে।এতে আবেদন জমা পড়ে চারহাজার ৯৯৭ টি।গত ২৭ এপ্রিল চারহাজার ২৯৪ জনের নাম অনুমোদনের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।আর ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র,ভুয়া শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ,বয়স কমবেশীসহ নানা অভিযোগে বাদ পড়ে ৭০৩টি আবেদন।এখানে নানা অনিয়ম-দূর্নীতি করে তিনি প্রায় কোটি হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে ইউসুফ ভুঞা কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সুত্রটি আরো জানায়,এমাসেই গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ,গাইবান্ধা সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ন্যাশন্যাল সার্ভিস কর্মসুচির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার কথা রয়েছে।তাই ইউসুফ ভুইয়া সুন্দরগঞ্জে পুনরায় বদলীর জন্য আবারও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে জোড় তদবীর শুরু করেছেন। একারনেই তিনি সাদুল্লাপুরে ছয়মাসেও যোগদান করেননি।
২০১০ সালের ডিসেম্বরে ইউসুফ ভুঞা সুন্দরগঞ্জে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন।প্রায় ছয় বছর ধরে তিনি সেখানে কর্মরত আছেন।পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন সাদুল্লাপুরে।তার বাড়ী নরসিংদী জেলার শিবপুর-উপজেলায়।