খােলা বাজার২৪।। বুধবার , ৭ জুন, ২০১৭: ১৯৭১ সালের ৩১ জুলাই আমি ও শেখ রেহানা জার্মানি পৌঁছাই। এর ১৫ দিন পরেই শুনি আমরা দুই বোন এতিম হয়ে গেছি। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার জাতীয় সংসদে লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের এমপি এ কে এম শাহজাহান কামালের বঙ্গবন্ধু হত্যাকা- ও পরর্বতীতে দেশে ফেরা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি ও ছোট বোন শেখ রেহানা ১৯৭৫ সালের ৩০ জুলাই জার্মানির উদ্দেশে রওনা দেই। ৩১ জুলাই সেখানে পৌঁছাই। এর ১৫ দিন পর ১৫ আগস্ট শুনি বাবা মা ও পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে আমরা এতিম হয়ে গেছি। সব হারিয়ে আমরা নিঃস্ব, রিক্ত হয়ে গেছি।
৭৫ পরবর্তী দেশে ফেরার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, খুনি মোশতাক ও তার দোসর জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্ট হত্যাকা- চালায়। এরপর তারা দেশে হত্যা, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে। সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের করে। জিয়া নিজেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, আমি ও রেহানা দেশে ফিরতে চাইলে আমাদের বাধা দেয়া হয়। রেহানার পাসপোর্টের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে তা জিয়াউর রহমানের নির্দেশে বর্ধিত করা হয়নি। ওই পাসপোর্টও ফেরত দেয়া হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫-১৯৮১ সাল পর্যন্ত আমাদের বিদেশেই থাকতে হয়। খুনি জিয়া আমাকে ও আমার বোনকে দেশে আসতে দেয়নি। আমাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে আসি। কিন্তু ওই সময় জিয়া বাধা দেয়ার চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি।
তিনি আরো বলেন, দেশে ফেরার পরও আমাকে ধানমান্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে যেতে দেয়া হয়নি। বাবা-মা, ভাইয়ের জন্য একটু দোয়া করারও সুযোগ পাইনি। পুলিশ ও গেটে তালা দিয়ে আমার পথ রুদ্ধ করা হয়।
রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলন, একটি মহল ভিত্তিহীন, কাল্পনিক ও মনগড়া বক্তব্য দিয়ে সুন্দরবন ধ্বংস হবে বলে গণমাধ্যমে তথ্য প্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত তিনটি জায়গার মধ্যে পরিবেশগত এবং অন্যান্য সার্বিক দিক দিয়ে সবচেয়ে সুবিধাজনক ও গ্রহণযোগ্য হওয়ায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য রামপালকে বেছে নেয়া হয়েছে।
সূত্র : আরটিভি