খােলা বাজার২৪।। বুধবার , ৭ জুন, ২০১৭: ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়কে ঈদে যানজটমুক্ত রাখতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে সওজ কতৃপক্ষ।
বুধবার সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে প্রায় ৩ শতাধিক অবৈধ ফুটপাত উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযোগ আছে, শিমরাইল মোড়ের ফুটপাত থেকে নামধারী আওয়ামীলীগ নেতা হাবিবুল্লাহ হবুল, নাসিক কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল, দেলোয়ার হোসেন, শাকিল, মজিবরের ভাগিনা সিবলু, মালেক প্রতিমাসে অর্ধকোটি টাকা চাঁদা উত্তোলন করত সরকার দলীয় স্থানীয় প্রভাবাশালীরা।
বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফলের দোকানসহ বিভিন্ন দোকান রেকার ও ভেকু দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে সওজ কতৃপক্ষ। এতে করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণপাশে হকারদের দখলকৃত লেনটি এখন যানচলাচলের উপযোগী হয়ে উঠেছে। উচ্ছেদের সময় সওজ নারায়ণগঞ্জের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ ইমরান ফারহান সুমেল ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সোহেল মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সোহেল মাহমুদ জানায়, প্রভাবশালী একটি চাঁদাবাজ চক্র জনসাধারণরে চলাচলের ফুটপাট ও মহাসড়কের কিছু অংশ দখল করে ভাড়া দিয়ে চাঁদা আদায় করত। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হওয়ায় আমরা এ উচ্ছেদ করি।
তাছাড়া আসছে ঈদে ঘরমূখী মানুষ যাতে শিমরাইল মোড়ে যানজট পোহাড়ে না হয়, এ জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়ে গেছেন, মহাসড়কের পাশে যানজট সৃষ্টি হয়, এমন স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য। মূলত সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী নির্দেশেই আমরা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলস্থ নারায়ণগঞ্জ সওজ বিভাগ প্রায় ১ বছর পূর্বে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ করে শিমরাইল মোড়ের দক্ষিণ পাশের একটি সার্ভিস লেন নির্মাণ করে আমদজী ইপিজেড থেকে আসা পরিবহন ও রিক্সা চলাচল করার জন্য।
কিন্তু প্রভাবশালী মহল ঐ জায়গা দখল করে ভাড়া দিয়ে দৈনিক ও মাসিক ভিত্তিতে চাঁদা উত্তোলন করত। এতে করে এ লেন দিয়ে যানবাহন ও রিক্সা চলাচল করতে পারত না। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সৃষ্টি হত দীর্ঘ যানজট।