Wed. Apr 23rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার , ৮ জুন, ২০১৭: যারা এখন বাড়ি দখল ও উচ্ছেদ করছে ভবিষ্যতে তারাও এক কাপড়ে উচ্ছেদ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ব্যারিস্টার মওদুদ ৩০ বছর যাবত বাড়িতে আছেন, আজকে থেকে তাকে রাস্তায় বের করে দিয়েছে। আমার বাড়িতে আমি প্রায় ৪০ বছর যাবত বসবাস করতাম। আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে এক কাপড়ে। এদের (ক্ষমতাসীন) যারা বাড়ি-ঘর দখল করেছে, জনগণ তো এদেরকে দেখবেন। জনগণ সব হিসাব রাখছে। এদেরকেও ওই এক কাপড়ে বাড়ি-ঘর থেকে বিদায় করে দেবে। তারা মনে করে, খুব ভালোভাবে থাকবে। জনগণ এটা হতে দেবে না। আল্লাহ‘তালার একটা বিচার আছে।

বুধবার বিকালে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটির (বসুন্ধরা) পুষ্পগুচ্ছ হল রুমে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

খালেদা জিয়া বলেন, দেশে বিচার নেই। আজকে আমরা এতো অসহায়। এই যে এতো অত্যাচার-জুলুম হচ্ছে, তার জন্য যে বিচার চাইব, বিচারের জন্য কোর্টে গেলে বিচার নেই। কারণ সেখানেও আওয়ামী লীগের থাবা, তারা থাবা দিয়ে রেখেছে। নিম্ন আদালত পুরো তাদের নিয়ন্ত্রণে। সেখানে তারা যাকে বলবে, সে নিরাপরাধ হলেও তাকে সাজা দেবে, যে অপরাধী তাকে ছেড়ে দেবে।

আপন জুয়েলার্সের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আপনারা দেখতে পারছেন। টাকা-পয়সা লেনদেন হলেই, সোনা-দানা লেনদেন হলেই সবকিছু তদন্ত চেপে যায়। এখন বুঝতে বাকি থাকে না, এই সোনা পাচারের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বড় বড় লোকজন জড়িত। যার জন্য এতো সোনা অবাধে দেশে আসতে পেরেছে। লোক দেখানোর জন্য অল্প কিছু ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। এটাই হচ্ছে বাস্তব অবস্থা।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, দেশের এই অবস্থার পরিবর্তনে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। মানুষ আর চলমান অরাজক অবস্থা দেখতে চায় না। মানুষ সামনে পরিবর্তন চায়। সেজন্য তারা চায় আগামী দিনে একট সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। কিন্তু আমরা বলেছি, হাসিনার অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। নির্বাচন কমিশন চাইলেও তার সুষ্ঠু হবে না। সেজন্য প্রয়োজন হাসিনাকে ক্ষমতা সরিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

ইসির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিনা ভোটে নির্বাচিত সরকারের চাটুকারিতা না করে, জনগণের চাহিদা অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচন করে তাদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটান। এ সময় নির্বাচন কমিশনকে সরকারের প্রভাবমুক্ত হয়ে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার আহবানও জানান বিএনপি চেয়ারপারসন।

খালেদা জিয়া বলেন, দেশে কি অবস্থা সবাই জানেন। দেশের অবস্থা মোটেও ভালো নয়। যারা ক্ষমতায় বসে আছে তারা জোর করে গায়ের জোরে আছে। পুলিশ ও বিভিন্ন সংস্থা ব্যবহার করে তারা ক্ষমতায় বসে আছেন। মানুষের দুরাবস্থার দিকে নজর নেই তাদের। দেশের মানুষ ভালো খেতে পারে না। দেশের বেশিভাগ মানুষ বেকার, তারপরও এরা (আওয়ামী লীগ) বড় বড় কথা বলে। তারা মিথ্যা কথা বলে টিকে আছে।

ইফতার মাহফিলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, ডা.এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, ড.মামুন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শ্যামা ওবায়েদ, সহ-সহনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক নিলুফার চৌধুরী মনি,

পেশাজীবীদের মধ্যে প্রকৌশলী আ ন হ আক্তার হোসেন, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, জাকির হোসেন, সাংবাদিক এম এম আজিজ, মাহফুজ উল্লাহ, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ।