Mon. Jun 16th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

67kখােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার , ৮ জুন, ২০১৭: গুলশানের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের দায়ের করা রিটের শুনানি আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি করেছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়। আদালতে ব্যারিস্টার মওদুদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

আদালত সূত্র জানায়, নোটিশ না দিয়ে মওদুদ আহমদের গুলশান-২-এর বাড়িতে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানোর বৈধতা চ্যালঞ্জ করে আজ হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়।

রিটে গুলশান এভিনিউয়ের ১৫৯ নম্বর হোল্ডিংয়ে ওই বাড়ির নকশায় কোনো ধরনের পরিবর্তন না করা এবং পজেশন ফিরিয়ে দেয়ার জন্য দুটি অন্তর্বতীকালীন আদেশ চাওয়া হয়।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পাশাপাশি রাষ্ট্রকেও এই রিটে বিবাদী করা হয়েছে। গুলশান ২ নম্বরের ১৫৯ নম্বর বাড়িটি বুধবার নিয়ন্ত্রণ নেয় রাজউক।

সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের ভাই মঞ্জুর আহমদের নামে গুলশান-২ এর ১৫৯ নম্বর প্লটের বাড়িটির মিউটিশন (নাম জারি) ও ডিক্রি জারি করতে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করে দেয়া আপিল বিভাগের রায় রিভিউ আবেদন গত ৪ জুন খারিজ করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। ফলে বাড়িটি ছাড়তে হবে বলে জানিয়েছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।গুলশানের এ বাড়িতে গত তিন দশক ধরে বসবাস করছেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

গত বছর ২ আগস্ট রাজধানীর গুলশানের একটি বাড়ি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারেস্টর মওদুদ আহমদের ভাই মঞ্জুর আহমেদের নামে মিউটেশন (নামজারি) করার জন্য দেয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাজউকের করা আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগ।

আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১০ সালের ১২ আগস্ট ওই বাড়িটি মনজুর আহমদের নামে মিউটেশন করার জন্য হাইকোর্ট রায় দেয়। রাজউক এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ‘লিভ টু আপিল’ দায়ের করে। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ আপিল বিভাগ রাজউককে আপিলের অনুমতি দেয়।

২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর বাড়িটি নিয়ে দুদকের উপ-পরিচালক হারুনুর রশীদ রাজধানীর গুলশান থানায় মওদুদ আহমদ ও তার ভাই মনজুর আহমদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলায় অবৈধভাবে বাড়ি দখল ও আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। ২০১৪ সালের ১৪ জুন এ মামলায় অভিযোগ আমলে নেয় বিচারিক আদালত। এ আদেশের বিরুদ্ধে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ হাইকোর্টে আবেদন করে। ২০১৫ সাল-এ ২৩ জুন দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ আমলে নিয়ে বিশেষ জজ আদালতের আদেশ বৈধ বলে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট।

গুলশান-২ এর ১৫৯ নম্বর প্লটের প্রকৃত মালিক ছিলেন পাকিস্তানি নাগরিক মো. এহসান। এক পর্যায়ে বাড়িটির মালিকানার কাগজপত্রে এহসানের স্ত্রীরও নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা বাংলাদেশ ত্যাগ করলে ১৯৭২ সালে এটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত হয়। ১৯৭৩ সালের ২ আগস্ট মওদুদ আহমদ তার ইংল্যান্ডপ্রবাসী ভাই মনজুরের নামে একটি আমমোক্তারনামা তৈরি করে বাড়িটি সরকারের কাছ থেকে বরাদ্দ নেয়।