খােলা বাজার২৪।। শুক্রবার , ৯ জুন, ২০১৭: দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেই ভেঙ্গে পড়ছে খাদ্য নিরাপত্তা। বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে, আমদানি করা চালও সময় মত পাওয়া যায় না। আর একবার দাম বাড়লেই তা আর কমছে না। যা সাধারণ মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। গত কয়েক বছরে কয়েকদফায় এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মির্জা এবিএম আজিজুল ইসলাম বলেন, টেকসই খাদ্য নিরাপত্তায় প্রধান যে কাজটি করতে হবে তাহলো, খাদ্য উৎপাদনে বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তোলা। যে জমিতে একটি ফসল বা দুটি ফসল হয় সে জমিতে কিভাবে আরও বেশি ফসল ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানো যায় এবং অর্থকারি ফসলের উৎপাদন করতে হবে। এ জন্য বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে।
খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষির পাশাপাশি গ্রামীণ অবকাঠামো, আবহাওয়া ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব আরোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতের চেরাপুঞ্জিতে অতিবৃষ্টি ও হাওরাঞ্চলের বাঁধ ভেঙ্গে গত এপ্রিল মাসে হাওরের বিস্তৃর্ণ অঞ্চল তলিয়ে যায়। আর কয়েকদিনের মধ্যেই এ সব ধান কাটা হোত। ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টির পর তা হাওরাঞ্জলের বাধে কয়েকদিন আটকিয়ে রাখা গেলে এ সব ধানের বড় অংশ কৃষকের ঘরে উঠতো। এর ফলে চালের অসম্ভব মূল্যবৃদ্ধি রোধ করা যেত। বাধের ব্যবস্থাপনা ত্রুটির কথা পানি সম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহামুদ নিজেও শিকার করেছেন।
এ ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, শুধু কৃষিতে বরাদ্দ বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা সৃষ্টি করা যাবে না। এ জন্য প্রয়োজন গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা, সংরক্ষনাগার সৃষ্টি করা ও ফসল উৎপাদনের পর তা মূল্য নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, কৃষক ফসল উৎপাদন করে যদি যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে বাজারজাত করতে না পারে; বাজারজাত করার অভাবে যদি দাম না পায় তাতে কৃষকরা হতাশ হবে। অথবা বিদ্যুতের সংযোগ আছে সরবরাহ নেই-এমন হয় তাহলে বাজারজাত ব্যহত হবে। এতে খাদ্য নিরাপত্তা বিঘিœত হবে।