খােলা বাজার২৪।। শনিবার , ১০জুন, ২০১৭: বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেছেন, নারী-পুরুষের মধ্যে অসমতা-বৈষম্য হ্রাস করার জন্য প্রতিবছর যে ‘জেন্ডার বাজেট’ ঘোষণা করা হয় তা কোন তথ্য-উপাত্তের অবলম্বনে নয়। বাজেটে মুখে মুখে নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলা হলেও বাস্তবে তা আলাদা। এখনো ৮০ ভাগ নারী পারিবারিক সহিংসতার শিকার। বাল্য বিয়ের হারও কম নয়। অন্যদিকে কর্মজীবী নারীরা এখনো অনিরাপদ।
বাজেটে নারীর ক্ষমতায়নে ‘জেন্ডার বাজেট’ বিষয়ে বিবিসি বাংলার একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘জেন্ডার বাজেট’ হচ্ছে সামগ্রীক বাজেটের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ‘জেন্ডার বাজেট’ নারীর জন্য পৃথক বরাদ্দ নয়। এটি প্রণয়নের মূল লক্ষ্য, নারীÑপুরুষের মধ্যে বিদ্যামান অসমতাÑবৈষম্য হ্রাস করা। নারী-পুরুষের মধ্যে অসমতা দূর করে এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা। যা নারীর ক্ষমতায়ন ও অগ্রগতিতে সুনির্দিষ্ট ভূমিকা রাখবে। আবার সামগ্রীক বাজেটে এমন কোন পরিকল্পনাও গ্রহণ করা যাবে না যা নারীর উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে অথবা বৈষম্য আরও বাড়াবে।
জেন্ডার বাজেটের পরিকল্পনা তথ্য-উপাত্ত নির্ভর নয়, উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বছর বাজেটে কর্মজীবী নারীদের জন্য একটি হোস্টেলের কথা বলা হয়েছে। অথচ একটি হোস্টেল পর্যাপ্ত নয়। কোন পরিমাপকের সাহায্যে একটি হোস্টেলের সিদ্ধান্ত নেয়া হলো তা অজানা। অন্যদিকে নারী প্রতি সংহিসতা কমাতে বাজেটের পরিমাণ এবং গত বছর বাজেটের পরিমাণ একই। বলা হচ্ছে, শিক্ষা-স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বাজেটের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু সেই বাজেট নারীর উন্নয়নে, নারীর কর্মসংস্থানে সম্মুখীন হওয়া চ্যালেঞ্জগুলোর দূর করার জন্য এই বাজেট কতোটা সহায়ক হবে? সে বিষয়গুলো অস্পষ্ট।
তিনি বলেন, বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, নারীর রজনৈতিক-সামাজিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। আসলে চিত্র ভিন্ন। তাই ‘জেন্ডার বাজেট হতে হবে সুপরিল্পিত ও তথ্য-উপাত্ত নির্ভর।
‘জেন্ডার বাজেট’ নিয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আজ এক মূল্যায়ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।