খােলা বাজার২৪।। শনিবার , ১০জুন, ২০১৭: দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীকে কোন ক্ষেত্রে মোট কী পরিমাণ অর্থ শুল্ককর দিতে হবে, বাজেটে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু নেই। ফলে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী বিদেশিরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেউ স্পষ্ট কোনো উত্তর দিতে পারে না।
আর বিনিয়োগকারী কর, শুল্ক ও ভ্যাট বাবদ যে অর্থ সরকারকে রাজস্ব হিসেবে দেবে, এর বিনিময়ে তাকে কী সুবিধা দেওয়া হবে, প্রস্তাবিত বাজেটে তাও স্পষ্ট করা হয়নি।
গতকাল ‘বাজেট প্রস্তাব-২০১৭’ শিরোনামে এক গোলটেবিল আলোচনায় সংস্থাটির ম্যানেজিং পার্টনার ও অর্থনীতি বিশ্লেষক ড. মামুন রশীদ এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সংস্থাটির অংশীদার সুস্মিতা বসু, পরিচালক কপিল বসু, ব্যবস্থাপক প্রবির মিত্র অংশ নেন। গোলটেবিল আলোচনায় করপোরেট করহার কমানো ও ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর সুপারিশ করেন তাঁরা।
মামুন রশীদ বলেন, বাংলাদেশ এই সময়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বিনিয়োগবান্ধব দেশ। বিশেষ করে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ একটি স্বপ্নপুরী। বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য মুখিয়ে আছে। কিন্তু কিছু আইনি জটিলতার কারণে তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারছে না। এগুলো দূর করতে হবে। তিনি বলেন, ‘একজন বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রথমেই জানতে চান তাঁকে কী পরিমাণ শুল্ককর দিতে হবে।
শুল্ককর দিলে তিনি কী ধরনের সুবিধা রাষ্ট্রের কাছ থেকে পাবেন। কম্পানি প্রতিষ্ঠার পর তাঁদের ভারী যন্ত্রপাতিগুলো শুল্কমুক্তভাবে নিজেদের দেশে ফেরত নিতে পারবেন কি না। বিনিয়োগকারীকে মোট কী পরিমাণ শুল্ককর দিতে হবে। প্রস্তাবিত বাজেটে এসব প্রশ্নের কোনো সুস্পষ্ট উত্তর নেই। ফলে বিনিয়োগকারীরা যখন আমাদের কাছে এসব নিয়ে প্রশ্ন করেন, তখন আমরাও সঠিক উত্তর দিতে পারি না।