Wed. Apr 23rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

এমনিতেই জয়ের পথে এগিয়ে ছিল ইংলিশরা। কাজটা তাদের আরও সহজ করে দিয়েছে বৃষ্টি। একটা শঙ্কা কাজ করছিলই বৃষ্টি নিয়ে। কেননা বৃষ্টির বাগড়ায় দুটো ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল এই অস্ট্রেলিয়ারই। তবে ২০ ওভার পেরিয়ে যাওয়ার পরিত্যক্তের আর কোনও সম্ভাবনা ছিল না। যদিও বৃষ্টি বাগড়া দিয়েছিল ঠিকই। ৪১তম ওভারে বৃষ্টি শুরু হলে বন্ধ হয়ে যায় ম্যাচ। যদিও ততক্ষণে জেতার কাজটা করে রেখেছিল ইংলিশরা। ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথডে ৪০.২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান করা ইংলিশরা অস্ট্রেলিয়ার ২৭৭ রানের চেয়ে এগিয়ে ছিল ৪০ রানে।

‘এ’ গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফি মিশন শেষ করল কোনও ম্যাচ না জিতে। এই হারের আগে দুটো ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় ৩ ম্যাচে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট ২। পরিত্যক্ত ম্যাচ থেকে পাওয়া নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট ১। আর কিউইদের হারিয়েই মহামূল্যবান ২ পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশ সবমিলিয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল ‘এ’ গ্রুপের রানার্স আপ হয়ে। আর তিন ম্যাচের সবক’টি জেতা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ইংলিশদের পয়েন্ট ৬।

বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের কার্ডিফের ম্যাচটাই যেন ফিরে এসেছিল বার্মিংহামে। ২৭৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই বিশাল ধাক্কা খায় ইংলিশরা। মাত্র ৬ রানেই নেই ২ উইকেট। দুই ওপেনার জেসন রয় (৪) ও অ্যালেক্স হেলস (০) ফিরে যাওয়ার পর জো রুটও পারেননি নিজেকে মেলে ধরতে। জশ হ্যাজেলউড ও মিচেল স্টার্কের পেস আগুনে স্বাগতিকদের রান তখন ৩ উইকেটে ৩৫!

ইংল্যান্ড সমর্থকদের চেয়ে বেশি হতাশা গ্রাস করেছিল বাংলাদেশের ভক্তদের। তবে তাদের বিষণ্ন মুখে ঠিকই হাসি ফুটিয়েছেন এউইন মরগান ও বেন স্টোকস। কঠিন বিপর্যয়ের মধ্যে থেকে দলকে টেনে তোলার কাজে লেগে পড়েন তারা। চতুর্থ উইকেটে গড়েন ১৫৯ রানের অসাধারণ জুটি। অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের ওপর রীতিমত ঝড় তুলেছেন মরগান-স্টোকস। ৮৭ রান করে মরগান রানআউটের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরলেও স্টোকস তুলে নেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত ছিলেন ১০২ রানে। ১০৯ বলের ইনিংসটি যিনি সাজিয়েছিলেন ১৩ চার ও ২ ছক্কায়। তার সঙ্গে ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন জস বাটলার।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারণ জয়ে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। বিদায় করে দিয়েছে কিউইদের। সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি র‌্যাঙ্কিংয়েও একধাপ উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। সাত থেকে উঠে এসেছে ছয়ে। এ যাত্রায় আবারো শ্রীলঙ্কাকে পেছনে ফেলেছে টাইগাররা। অবশ্য আগামীকাল শ্রীলঙ্কা প্রতিপক্ষ পাকিস্তানকে হারালে আবারো তারা র‌্যাঙ্কিংয়ের ছয়ে উঠে যেতে পারে।

অবশ্য বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি র‌্যাঙ্কিং এখনো আপডেট করেনি। সে কারণে তাদের ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে ৯৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে শ্রীলঙ্কা রয়েছে ছয়ে। আর ৯৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ রয়েছে সাতে। আপটেড করলে বাংলাদেশ ছয়ে উঠে যাবে।

মজার ব্যাপার হল ওয়ালটন ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শ্রীলঙ্কাকে পেছনে ফেলে র‌্যাঙ্কিংয়ে ছয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে আবারো সাতে নেমে যায় টাইগাররা। ছয়ে উঠে যায় লঙ্কানরা। বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের বিপক্ষে অসাধারণ এক জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। তাতে তাদের রেটিং পয়েন্ট বেড়ে হয় ৯৪। আর শুক্রবার রাতে সেই নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ৯৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আবারো বাংলাদেশ উঠে আসে র‌্যাঙ্কিংয়ের ছয়ে।