খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ১২ জুন, ২০১৭: টানা বর্ষণে আবারো তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম মহানগরীর নিম্মাঞ্চল। নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। কোথাও ছিল হাঁটুসমান পানি কোথা জমেছিল কোমর সমান। সব মিলিয়ে নগরী পানিতে থৈ থৈ করেছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হন নগরবাসী।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট মৌসুমি নিম্নচাপের প্রভাবে রোববার দিবাগত রাত থেকে টানা বর্ষণে ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতার কারণে নগরীল বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রবাদ, হালিশহর, আগ্রাবাদ এক্সেসরোড, ছোটপুল, বহদ্দারহাট, ব্যবসায়ীক এলাকা হিসেবে পরিচিত খাতুনগঞ্জ ও চাকতাই এলাকাসহ চকবাজা, শুলকবহর, বাকলিয়া, জিইসি মোড়, ২ নম্বর গেইট এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগ পড়েছে। রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১৭৭ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস। মৌসুমি নিম্নচাপের কারণে সমুদ্রবন্দর গুলোতে ইতোমধ্যে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বাতাসের পাশাপাশি বৃষ্টিপাতও অব্যাহত থাকবে।’
সরেজমিন দেখা যায়, আগ্রবাদ, হালিশহর, আগ্রাবাদ এক্সেসরোড, ছোটপুল, বহদ্দারহাট, খাতুনগঞ্জ ও চাকতাই, চকবাজা, শুলকবহর, বাকলিয়া এলাকার নিচু এলাকায় পানি থেকে যায়। পানিতে বিভিন্ন সড়ক, গলিসহ পাড়া মহল্লার বিভিন্ন ভবনের নিচতলার বাসা ডুবে যায়।
আগ্রাবাদ এলাকার বাসিন্দা ইয়াছিন হীরা বলেন, বৃষ্টির পানিতে নিচতলা ডুবে গেছে। কয়েকদিন আগেও বৃষ্টিতে পানিবন্দী ছিলাম। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। এসব এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতে পানি ওঠে। এবং কয়েকদিন ধরে পানি জমে থাকা সাধারণ নিয়মে পরিণত হয়েছে। এদিকে আগামী বছর জলাবদ্ধতার থেকে মুক্তি পাবে মানুষ বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির । তিনি বোরবার বিভিন্ন এলাকা পরির্দশন করতে গেলে এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, মহেশখাল খনন, অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ, দুপাড়ে রাস্তা নির্মাণ, এক্সেস রোড উঁচু করে পরিকল্পিত ড্রেনেজ সিস্টেম আগামী বছর বর্ষা মৌসুমের আগে সম্পন্ন করা গেলে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ ও দুর্গতি থেকে মানুষ মুক্তি পাবে বলে জানিয়ে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, গত বছর এভাবে পানি এখানে ওঠেনি। এ বছর পানির পরিমাণটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটার পেছনে অনেকের ধারণা, মহেশখালের মুখে অস্থায়ী যে বাঁধ চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষের অর্থায়নে দেওয়া হয়েছে তার প্রভাব। যদিও এটা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে। এ ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।