সারাদেশে দুর্ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেন, বিশেষ করে হাইওয়ের অবস্থা কী? এটা আপনারা আজ পত্রিকায় দেখেছেন। হাইওয়ের যদি এ অবস্থা হয় তাহলে দুর্ঘটনা আরো বৃদ্ধি পাবে। এই সরকারের আমলে আমরা শুধু দেখছি, প্রতিনিয়তই মানুষের মৃত্যু, মৃত্যু আর মৃত্যু। মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলছে। আর এই সরকার আনন্দেই আছে। অপরদিকে তারা দেশে- বিদেশে ভ্রমন করে বেড়াচ্ছেন, তারা আকাশে উড়ে। কিন্তু মাঠের কথা চিন্তাও করে না এবং তাকিয়েও দেখেও না কী অবস্থা!
তিনি বলেন, সরকার অনেক উন্নয়নের কথা বলে। কিন্ত রাস্তা-ঘাটের যে অবস্থা, এটা দেখে কী মনে হয়, দেশে উন্নয়ন হয়েছে? উন্নয়নের সুফল কী দেশের মানুষের কাছে পৌঁছেছে- প্রশ্ন রাখেন খালেদা জিয়া।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসে বহু মানুষ নিহত হয়েছে। আমরা অত্যান্ত দু:খিত। যারা পাহাড় ধসে নিহত হয়েছে আমরা তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আর যারা আহত হয়েছেন, তাদের চট্রগ্রাম বা ঢাকায় এনে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।
ঈদের আর কয়েক দিন বাকী আছে- উল্লেখ করে বেগম জিয়া বলেন, ঈদ বাজারে কোন বিক্রি নাই। কারণ মানুষের কাছে টাকা নেই। মানুষ ভাত খাবে না কী বিদ্যুৎ, গ্যাসের বিল দেবে না কী বাড়ি ভাড়া দেবে? না ছেলে-মেয়েদের স্কুলের পাঠাবে?
গরীব মানুষদের বেঁচে থাকা আজ অত্যান্ত কঠিন হয়ে পড়েছে মন্তব্য করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার গরীবদের জন্য কিছু করিনি। আর করবেও না। তারা শুধু চিন্তা করে ক্ষমতায় থাকতে হবে। সাধারণ মানুষের এখানে ভোটের কোন দাম নেই। মানুষ ভোট কেন্দ্র কেন্দ্রেও জেতে পারবে না।
গত ১০ বছর ধরে এদেশে ভোট হয় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের দাবি এবার এদেশে ভোট হতে হবে। আর এ নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করতে চায়, এর জন্য পরিবেশে তৈরী করতে হবে। সেই নির্বাচনে সকল মানুষ ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা রাখতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার। কারণ হাসিনা সরকার কিছু করবে না। তাদের প্রক্রিয়া ভিন্ন। কারণ তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে চায় না।
স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম কী দেশের এ অবস্থা দেখার জন্য- প্রশ্নে রেখে খালেদা জিয়া বলেন, এক পরিবার সব কিছু দখল করে নেবে। কেউ গণভবন দখল করবে, কেই অমুক বাড়ি, অমুক কিছু দখল করবে। তাদের পরিবারকে সব নিরাপত্তা দিতে হবে। আর সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই।
দেশের মানুষ পরবির্তন চায়, উন্নতি চায়। দেশের মানুষ এই জালেম সরকারের কাছ থেকে মুক্তি চায়- বলেন খালেদা জিয়া।
ইফতার অনুষ্ঠানে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদি, অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ, আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহসহ জোটের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।