খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০১৭: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় হাজিরা দিতে পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অস্থায়ী বিশেষ আদালতে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দুই মামলায় হজিরা দিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১২ টা বিশেষ আদালতে উপস্থিত হন তিনি।
এসময় বিএনপির সিনিয়র নেতাকর্মী, আইনজীবীরা তাকে স্বাগত জানান।
এর আগে সকাল সাড়ে দশটায় গুলশানের ফিরোজা বাসভবন থেকে আদালতের উদ্দেশ্য রওনা দেন খালেদা জিয়া।
এদিকে খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরাকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় বিএনপির অঙ্গসংগঠন ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলের নেতারা অবস্থান নেন। নিরাপত্তার জন্য আদালতের চারপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বি আইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন।
অন্যদিকে অরফানেজ মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামি মোট ছয়জন। অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
আসামিদের মধ্যে ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন। বাকিরা জামিনে আছেন। তারেক রহমান পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আছে।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করা হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।