খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০১৭: পাহাড় ধসের ঝুঁকি নিয়ে না থাকার জন্য বসবাসকারীদের সরে যেতে বারবার মাইকিং করা হয়। এর পরও অনেক জায়গায় ঝুঁকিতে থাকা লোকজন সরে না। অনেক সময় আমরা পত্রিকায় পাহাড় কাটার কথা পড়ে থাকি। কিন্তু আমরা সেই কথা গুলি ভুলে গেছি। এর আগে এত বড় দুর্যোগ হয়নি কিন্তু প্রতি বছর পাহাড় ধসে অনেক মানুষ মারা গেছে। আর এই পাহাড় ধসের কারণ আমাদের প্রতিক্রিয়া করে না শুধু মাত্র কিছু গরিব মানুষ মরে যায় বলে। সাধারন পাহাড়ি মারা যায় আর কিছু অস্থায়ী মানুষ সেখানে বসবাস করে তারা মারা যায়। কিন্তু এবার যখন উদ্ধার কাজ করতে গিয়ে সেখানে চারজন সেনা বাহিনী লোক মারা যায় সেটি অনেক কষ্ট দায়ক ব্যাপার।
বুধবার রাতে চ্যানেল আইয়ের আজকের সংবাদপত্র অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক গোলাম মোর্তোজা।
গোলাম মোর্তোজা আরো বলেন, যেহেতু গরিব মানুষ মারা যায় সুতরাং আমাদের যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সাধারন জনমানুষ ও রাষ্ট্রের যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গরিব মানুষ নিয়ে আমরা ভাবি না। গরিব মানুষ না খেয়ে থাক বা বিভিন্ন কারনে সে মারা যাক তাতে আমাদের ভিতবে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া তৈরি করে না। আর তৈরি করে না বিধায় যে কাজ গোল করা দরকার না সে কাজ গুলো বছরের পর বছর পরিচালিত হচ্ছে। পার্বত্য চট্রগ্রামের গহীন জঙ্গলের যে পাহাড় গুলো ছিলো সে পাহাড় গুলো আমরা কেটে একে বারে গাছ শূন্য করে ফেলেছি। ১৯৯৭ সালে চুক্তির পরে পার্বত্য চট্রগ্রামের তিনটি জেলার গহীন জঙ্গল গুলো আছে তার প্রতিটি আমি ঘুরে দেখেছি আর তখন পর্যন্ত্য সেই জঙ্গল গুলো ছিলো গহীন জঙ্গল যাতে সব ধরনের প্রাণী বসবাস করতো। কিন্তু এখন সেখানে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে বসতি গড়ে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে ভাড়া দিচ্ছেন প্রভাবশালী একটি চক্র। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে ঘর বানানো থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের সংযোগও দিচ্ছেন তারা। পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদেরও নিয়ন্ত্রণ করছেন তারা। বলতে গেলে পাহাড়েরই নিয়ন্ত্রণ এই চক্রের হাতে। প্রশাসনের নাকে ডগায় দিনের পর দিন পাহাড়ে এভাবে রাম-রাজত্ব কায়েম করলেও তাদের উৎখাতে কোনও পদক্ষেপ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। বরং প্রভাবশালী চক্রের পেছনে রাজনৈতিক আশীর্বাদ থাকার কারণে পাহাড় দখলমুক্ত করতে অপারগ খোদ স্থানীয় প্রশাসন।
তিনি আরো বলেন, এখন থেকে যদি এইসব পাহাড়ি অঞ্চল প্রভাবশালী চক্র থেকে দক্ষল মুক্ত না করা হয় তাহলে আরো অনেক হতাহত্য হবে আর আমাদের এমন করে প্রতিবছর আহাজারি করতে হবে।