২৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই সাবলীল ছিলেন রোহিত ও ধাওয়ান। এই দুজন একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বাংলাদেশি বোলারদের এলোমেলা করে দেন। মাশরাফির করা ১৫তম ওভারের চতুর্থ বলে মিড অফে মোসাদ্দেকের হাতে ধাওয়ান ক্যাচ দিয়ে ফিরলে স্বস্তি ফিরে আসে বাংলাদেশ শিবিরে। অবশ্য তারপরও চালকের আসনেই থাকে টিম ইন্ডিয়া।
ধাওয়ানের বিদায়ের পর ব্যাট করতে নামেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। দ্বিতীয় উইকেটে রোহিত শর্মার সঙ্গে ১৭৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে এনে দেন কাঙ্খিত জয়। রোহিত শর্মা তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১১তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ১২৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। বিরাট কোহলি মাত্র ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন’; অপরাজিত থাকেন ৯৬ রানে।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ মাঝপথের ধসে ২২৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে। অষ্টম উইকেটে মাশরাফি ও তাসকিনের মধ্যকার ৩০ বলে ৩৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে লড়াই করার পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের হয়ে ওপেনার তামিম ইকবাল ৮২ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৭০ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। মুশফিক ৮৫ বলে করেন ৬১ রান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২১, সাব্বির রহমান ১৯, মোসাদ্দেক ১৫ এবং মাশরাফি করেন ২৫ বলে ৩০ রান।
ভারতের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার, জসপ্রিত বুমরাহ ও কেদার যাদব। রবীন্দ্র জাদেজা নেন একটি উইকেট।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহীম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন, তাসকিন আহদে, মাশরাফি বিন মুর্তজা, রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান
ভারতীয় একাদশ: রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি, যুবরাজ সিং, এমএস ধোনি, কেদার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, ভুবনেশ্বর কুমার, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও জসপ্রিত বুমরাহ।