Wed. Apr 23rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ১৯ জুন, ২০১৭:  34আম খেতে পছন্দ করে না এমন কাউকে হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না । আর এখন বাজারে বিভিন্ন ধরনের আম পাওয়া যাচ্ছে। আমের স্বাস্থ্য উপকারিতার সম্পর্কে কারো কোনা সন্দেহ নেই। কিন্তু আম পাতাও স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি যা আনেকেই জানা নেই। আম পাতায় ভিটামিন, এনজাইম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ উপাদানে ভরপুর।

আম পাতার গুণাগুণ

আম পাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করতে অনেক বড় ভূমিকা রাখে এবং এটা এক চমৎকার ওষুধ হিসেবেও কাজ করে। কচি আম পাতায় ট্যানিনস নামক অ্যান্থোসায়ানিডিন থাকে, যা ডায়াবেটিসের প্রাথমিক পর্যায়ের রোগীদের জন্য অনেক উপকারী। শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ও হাইপারগ্লাইসেমিয়া কমাতে সাহায্য করে আম পাতা। তাই নিয়মিত এটি খাওয়ার চেষ্টা করুন।

কচি আম পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো রাখতে পারেন। আবার গরম পানিতে সেদ্ধ করে চায়ের মতো পান করতে পারেন অথবা তাজা পাতা পানিতে ভিজিয়ে সারা রাত রেখে দিয়ে সকালে এ পানি ছেঁকে নিয়ে এ পানি পান করতে পারেন।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও আম পাতার আছে আরও বিশেষ কিছু গুণ। আমপাতা রক্তচাপ কমাতে সাহাস্য করে। আম পাতার চা পান করলে সকল ধরনের শ্বসনতন্ত্রের সমস্যা সারতে এবং কমতে সাহায্য করে। এছাড়া আম পাতার আছে পোড়া ক্ষত নিরাময়ের আশ্চর্য ক্ষমতা।

আম পাতা গেঁটে বাত নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকরী। এছাড়া যারা অস্থির ও উদ্বিগ্ন অনুভব করেন তারা এর থেকে মুক্তি পেতে পান করতে পারেন আম পাতার চা। আম পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে পানির সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে সকালে পান করলে কিডনির শরীর থেকে বের হয়ে যাবে।

ডায়াবেটিস রোগীরা আম কম খান

আম এমন একটি ফল যা কম-বেশি সবারই প্রিয়, কিন্তু অতিরিক্ত কোনো কিছুই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় তাই বেশি আম খেলে যাদের ক্ষতি হয় সে সম্পর্কে একটু জানা যাক।

চিকিৎসকরা বলেছেন, পাকা আমে রয়েছে নানা ভিটামিন যেমন ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন এ বা বিটা ক্যারোটিন। আবার রয়েছে উচ্চমাত্রার চিনি, কার্বোহাইড্রেড ও গ্লাইসেমিক। তাছাড়া পাকা আমে ফিনোলিকস জাতীয় উপাদান থাকার কারণে তা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস।

তবে পাকা আমে চিনির পরিমাণ বেশি থাকার ফলেই শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তারা একেবারেই আম থেকে দূরে থাকুন। কেননা আম রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়িয়ে শরীরের নানা ক্ষতি সাধন করে। আবার যারা অ্যাজমার সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রয়োজনে কম খান আম। কিডনির সমস্যা যাদের রয়েছে তাদের পক্ষেও বেশি আম খাওয়া উচিত নয়।

চিকিৎসকরা আরও বলেছেন, পাকা আম অতিরিক্ত খেলে ওজন বেড়ে যাবে। বেড়ে যাবে রক্তে শর্করার পরিমাণ। রক্তে সুগারের পরিমাণও বেড়ে যাবে।তাই আমের এই ভরা মৌসুমে আম খান পরিমিত।