Tue. Apr 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ১৯ জুন, ২০১৭: 75কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রবাসী মোঃ সুমন (৩২) কে কুপিয়ে হত্যা করাসহ তার ছোট ভাই সাইদুল ও মা কালি বেগম (৪৮)কে এলোপাতারী কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে প্রতিপক্ষ উপজেলা ছাত্র লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলা উদ্দিন, তার চাচা ধনু মিয়া ও অনিক গং।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাত আনুমানিক ৯ টায় উপজেলার বারকাউনিয়া গ্রামের মৃত জলিল মিয়ার বাড়ীর সামনে ব্রীজ সংলগ্ন। তিতাস থানা পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যা কান্ডের সাথে জরিত সন্দেহে রাতেই ৬ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে এবং লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মর্গে প্রেরণ করেছে। আহত সাইদুল ও মা কালি বেগমকে আশংঙ্খা জনক অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেনে। নিহত সুমনের ময়না তদন্তের পর গতকাল সোমবার বেলা ৪টার সময় যানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
গ্রামবাসী সুত্রে জানা যায় মৃত জলিল মিয়া ও জালু মিয়া আপন চাচাতো ভাই হয়। মৃত জলিল মিয়ার ছেলে উপজেলা ছাত্র লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলা উদ্দিন ও তার চাচা ধনু মিয়া গংদের সাথে জালু মিয়ার ছেলে সুমন,সাইদুল ও তার পরিবারের পৈত্তিক ভিটে বাড়ী নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তারই জের ধরে এই হত্যা কান্ডটি সংগটিত করেছে।এলাকাবাসী আরো জানায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে রবিবার রাতে আলা উদ্দিন, অনিক ও ধনু মিয়াগং সুমনকে নির্মমভাবে এলোপাতারী কুপিয়ে হত্যা করেছে এবং তার ছোট ভাই সাইদুল ও মা কে গুরুতর আহত করেছে। সুমন ৪ মাস পূর্বে মালয়শিয়া থেকে ছুটিতে বাড়ীতে আসে। সম্প্রতি ধনু মিয়া ও আলা উদ্দিদন গংরা সুমন ও তার পিতা জালু মিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে থানা পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করিয়ে কোর্টে প্রেরন করলে গত সোমবার ১১জুন বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আসে। এলাকাবাসী আক্ষেপ করে বলে জেল খেটেও সুমনের শেষ রক্ষ হলো না।
সরজমিনে গিয়ে অনুসন্ধানে জানা যায় ধনু মিয়া, আলা উদ্দিন,অনিক গং ও সুমনদের বাড়ীর দক্ষিন পাশের ডোবাটি ২০১৫ সালে ভরাট করে সীমানা নিরর্ধারণ না করে হত্যা কান্ডের ঘাতক উপজেলা ছাত্র লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলা উদ্দিন, ধনুমিয়া ও অনিক গং ইমারত নির্মান করে। সেই থেকে উভয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।
হত্যা কান্ডের সত্যতা স্বীকার করে তিতাস থানার ওসি নুরুল আলম জানান নীহত সুমন আমার থানায় নিয়মিত মামলার আসামী এবং সম্প্রতি সে জেল থেকে জামিনে আসে। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি এবং ঘটনার সাথে জরিত সন্দেহে ৬ জনকে আটক করেছি।
আটক কৃতরা হলো মৃত জলিল মিয়ার ছেলে মোঃ লিটন(৩৫),রিপন(৩০),আলা উদ্দিন (২৬) ও মৃত গনি মিয়ার ছেলে মোঃ ধনু মিয়া(৫০) ও তার দুই ছেলে অনিক(২৪) ও মোহাম্মদ আলী (২২)। আটকৃত রিপন জানান আমি ৪ দিন পূর্বে সৌিিদ আরব থেকে ছুটিতে এসেছি সুমনদের সাথে আমাদের বিরোধ আছে কিন্তু আমি এবং আমার বড় ভাই লিটন ঘটনার সাথে জরিত না।
অপর দিকে নিহতের ফুফাতো ভাই বিল্লাল হোসেন বাবুল জানান সুমন গত ৪ মাস পূর্বে মালয়শিয়া থেকে ছুটিতে বাড়ীতে আসে বর্তমানে সুমনের স্ত্রী ৩ মাসের অন্তসত্তা।ঈদের পরে মালয়শিয়া কর্মস্থলে যাওয়ার কথা ছিল। এগটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।