খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০১৭: আমাদনিতে শুল্ক কমানোর খবরে রাজধানীতে চালের দাম স্থির হয়ে গেছে। চালের বিক্রিও কমেছে বলে জানা গেছে। আমদানিকারকরা বলছেন, কম শুল্কে আমদানি করা চাল বাজারে ঢুকলে প্রতি কেজি ৫-৬ টাকা দাম কমবে।
কৃষকের ধানের জমিতে পোকার আক্রমণ এবং হাওরে হঠাৎ বন্যার কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম চাল উৎপাদন হয়েছে। এর সুযোগে একশ্রেণীর অসাধু মিল মালিকের কারসাজিতে কয়েকদফা চালের দাম বেড়েছে। দফায় দফায় চালের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
বাবুবাজার এলাকার একজন ক্রেতা বলেন, আগে যে চাল ৩২-৩৫ টাকা দিয়ে কিনতাম সে চাল এখন ৫০ টাকার উপরে কিনতে হচ্ছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট এবং বাবুবাজার ঘুরে দেখা গেছে মান ভেদে মোটা চাল ৩৮-৩৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতাদের অভিযোগ মিল মালিকরা চালের দর একক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে । তবে চালের আমদানি শুল্ক কমানোর ঘোষণার পর থেকে দাম স্থির আছে বলে জানালেন তারা।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট এলাকার একজন চাল বিক্রেতা জানালেন, আটাস চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৭ টাকা, মিনিকেট ৫২-৫৫ টাকা। আরেকজন বলেন, চালের দাম এখনও কমেনি। আমরা যেখান থেকে চাল নিয়ে আসি সেখানে দাম কমে নাই। শুল্ক কমানোর খবরে বাজারে ক্রেতা কমে গেছে ।
সহজ শর্তে কম শুল্কে আমদানি চালের সুফল আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে বলে আড়তদাররা মনে করছেন । বাদামতলী ও বাবুবাজার চাল আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বলেন, এখন যে চালের বাজার ৪৬-৪৭ টাকা, তার দাম কমে যাবে।
আমদানিকারকরা বলছেন, শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত আরো আগে নেয়া হলে চালে দাম এত বেশি বাড়তনা।
চাল আমদানিকারক মো. মাজেদ বলেন, চালের দাম বাড়ার যে সম্ভাবনা ছিল তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। চালের দাম ৩০-৪০ টাকার মধ্যে থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সরকার যদি আগে এ সিদ্ধান্ত নিত তবে চালের চালের দাম বাড়ার কোন সম্ভবানাই ছিলনা।
চালের বাজার নিয়ে যে কোন ধরণের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবেলায় খোলা বাজারে আমদানি ছাড়াও সরকারি মজুদ বাড়ার তাগিদ দিলেন বিশ্লেষকরা।
ক্যাব এর সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, চালের যে সরবরাহ সংকট আছে সেটা মজুদ হচ্ছেনা। আজকে ছয় সাত লক্ষ টন চাল মজুদ থাকলে এ সমস্যাটা হতনা।
ঈদের পরে কম শুল্কে আমদানি করা চাল বাজারে এলে দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
সূত্র : ডিবিসি টিভি