খােলা বাজার২৪।।রবিবার, ২৫ জুন, ২০১৭: বর্তমান সময়ে গ্যাস্ট্রিকে আক্রান্ত নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। কমবেশি সবাই জীবনে কখনো না কখনো গ্যাস্ট্রিক জ্বালা ভুগেছি। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য নানা ঔষধের শরণাপন্ন হয়েছি। কিন্তু কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করলে ও প্রাত্যহিক জীবনে প্রয়োগ করলে আপনি গ্যাস, বুক জ্বালা সর্বোপরি গ্যাস্ট্রিক থেকে সহজেই বাঁচতে পারবেন।
আসুন জেনে নেই সেগুলো কি কি
নিয়মিত শসা খাওয়া : শসা আমাদের পেট ঠান্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী। শশায় রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।
দৈনিক খাবারের সাথে দই খাওয়া : দই অত্যান্ত পুষ্টিকর খাবার। দই নিয়মিত খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এতে করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা দূর হয়।
কাঁচা বা পাকা পেঁপে খান : পেঁপে সেটা কাঁচা বা পাকা যেটাই হোক না কেন তা পেটের পাচনক্রিয়া বাড়ায় অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে। পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক একপ্রকার এনজাইম যা আমাদের হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও গ্যাসের হবার অনেকাংশে সমস্যা কমে যায়।
ফলের মাঝে কলা ও কমলা প্রাধান্য দেয়া : ফলের মাঝে কলা ও কমলা আমাদের পাকস্থলির অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে খুব সহজেই তা আমাদের গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তির ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কলার সলুবল ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
আদা টুকরা খাওয়া অভ্যাস : পুরানো প্রবাদ আছে আদা আধা রোগের ঔষধ, এর সবচাইতে কার্যকরী গুন হচ্ছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা কিনা পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস অত্যান্ত কার্যকরী। নিয়মিত খাবার পর আদা কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খেলে গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবেই।
নিয়মিত ঠান্ডা দুধ পান করলে : পাকস্থলির গ্যাসট্রিক হয় মূলত এসিডের কারণে সেই এসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠান্ডা দুধ।
পুদিনা পাতার পানি খাওয়া : দৈনিক এক কাপ পানিতে ৫-৬টা পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে খান। পেট ফাঁপা, বমিভাব দূরে রাখতে এর বিকল্প নেই
জিরা গুড়া ও জিরা পানি : জিরা পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকার প্রভৃতিতে অত্যন্ত ফলপ্রদ জিরার পানি ও জিরা গুরা খাবার সময় খেলে গ্যাসের সমস্যায় উপকার পাবেন।
এছারাও খাবারে মশলা জাতীয় খাবার ত্যাগ করুন না পারলে যত পারেন কমিয়ে দিন সেইসব খাবার যেগুলো পেটে গ্যাস করে।