খােলা বাজার২৪।।রবিবার, ২৫ জুন, ২০১৭: ইকুয়েডরের ছয় মাসের গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রতিদিন একটি করে ডিম খেলে শিশুদের উচ্চতা বৃদ্ধি পেতে পারে। সেদ্ধ, ভাজা অথবা অমলেট যে ভাবেই হোক এগুলো তাদের উৎসাহ দিবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, পাঁচ বছরের নিচের ১৫৫ মিলিয়ন শিশু তাদের বয়সের তুলনায় খাটো। এই সমস্যাগুলো নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে বেশিএবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য উপায়গুলি খুঁজে দেখছেন।
লোরা ইয়ানোট্টি এবং তার সহকর্মীরা ইকুয়েডরের গ্রামীণ উচ্চভূমিতে একটি গবেষণাগার স্থাপন করেন এবং সেখানকার সকল বয়স্ক শিশুদের বিনামূল্যে ডিম খাওয়ানো শুরু করলেন তাদের বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যগত উন্নতি যাচাই করার জন্য।
১৬০ জনের মধ্যে ৯০ জনকে ছয় মাস নিয়মিত ডিম খেতে দেয়া হল এবং তাদেরকে নজরদারিতে রাখা হল। গবেষকরা প্রতি সপ্তাহে তাদের বাড়িতে যেতেন এবং পরিবারের কাছ থেকে খবর নিতেন যে তাদের কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা।
গবেষণার শেষে দেখা গেছে যে ডিম খাওয়া আর না খাওয়াদের মধ্যে তেমন কোন পরিবর্তন না থাকলেও যে শিশুরা নিয়মিত ডিম খেয়েছিল তারা ছয় মাস পূর্বে পরীক্ষা শুরুর আগের স্বাস্থ্যগত অবস্থা থেকে কিছুটা ভালো হয়েছিল।
লোরা ইয়ানোট্টি বলেন, “শিশুদের ছোট পেটের জন্য ডিম একটি খুব ভালো খাবার”। তিনি আরও বলেন, “ডিমের মধ্যে বিভিন্ন পুষ্টির সংমিশ্রণ আছে যাকে আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি”।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুপারিশ করে যে, শিশুদের প্রথম ছয় মাস শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো উচিৎ যাতে তাদের সর্বোত্তম বৃদ্ধি, উন্নয়ন ও স্বাস্থ্যের উন্নয়ন বজায় থাকে। প্রথম ছয় মাস পরে, শিশুদের পুষ্টিকর পরিপূরক খাবার দেওয়া উচিৎ এবং সাথে দুই বছর বা তারও বেশি বছর পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যেতে হবে।
ব্রিটিশ নিউট্রিশন ফাউন্ডেশন পরামর্শ দেন যে, “ডিম একটি পুষ্টিকর খাবার হওয়া সত্ত্বেও, এটি গুরুত্বপূর্ণ যে তাদের প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন ধরনের খাবার দেয়া উচিৎ। এটি কেবল তাদের প্রয়োজনীয় সকল ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ প্রাপ্তির জন্য নয়, তাদের মুখের স্বাদেরও পরিবর্তনের দরকার আছে”।