খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ২৭ জুন, ২০১৭: ঈদকে কন্দ্রে করে দেশের অর্থনীতিতে বাড়ছে টাকার প্রবাহ। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর হিসাবে, চলতি মাসেই যোগ হয়েছে বাড়তি এক লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। নিত্যপণ্য, পোশাক, বিনোদন ও পরিবহন খাতে ব্যয় হচ্ছে এই অর্থ। আরো যোগ হয়েছে প্রবাসীদরে পাঠানো টাকা এবং চাকরি ও শ্রমজীবীদরে বোনাস।
বড় হচ্ছে দশেরে অর্থনীতির আকার। সমৃদ্ধ হচ্ছে ঈদকন্দ্রিক অর্থনীতিও। আর এর মূল শক্তি পোশাকের বাজার। সঙ্গে আছে গাড়ি, গয়না, ফোন, আসবাবপত্র, রেফ্রিজারেটরসহ নানা সামগ্রী। বড়েছে দেশ-বিদেশে পর্যটন।
এফবসিসিআইয়ের হিসাবে, এ বছর রোজা-ঈদে অর্থনীতির আকার বড়েছে প্রায় ১০ ভাগ। পোশাকরে বাজারে যোগ হয়েছে ৩৬ হাজার কোটি আর অ্যাপায়নে ২৭ হাজার কোটি টাকা। জাকাত-ফতিরায় ৬৭ হাজার কোটি ও পরবিহন খাতে বাড়তি যাচ্ছে ৭‘শ কোটি টাকা। এছাড়া ঈদ-ভ্রমণ ও বিনোদনে ব্যয় ৫ হাজার কোটি টাকা।
এর বাইরে আছে সরকার-বেসেরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ও তৈরি পোশাক খাতের ৭০ লাখ শ্রমিকের বোনাস। আছে প্রবাসীদরে পাঠানো রেমিট্যান্স।এ সম্পর্কে ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতি তৌফিক এহসান বলেন, ‘প্রবাসে যারা বসবাস করছেন তারা যে পরিমান অর্থ যোগান আমাদের দেশে দিচ্ছে তা প্রতি বছরে বা মাসের থেকে ঈদের সময ১০গুন বেশি হয়।’
এছাড়া প্রায় এক হাজার ই-কর্মাস ও ১০ হাজার ফেইজবুক পজেভত্তিকি প্রতিষ্ঠান পোশাক বিক্রি করে। এসব প্রতিষ্ঠান সারা বছর যে ব্যবসা করে তার বড় অংশই হয় ঈদে।
ঈদ কন্দ্রে করে র্অথনতৈকি কর্মকাণ্ডের পরিধি বাড়ায় শহর-গ্রামে হয় কর্মসংস্থানের সুযোগ। শহরের চেয়ে টাকার প্রবাহ বাড়ে গ্রামে চাঙা হয় গ্রামীণ অর্থনীতি। সিপিডির রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, আমরা যেসব পোশাক পরিধান করি তার বেশির ভাগ তৈরী হয় গ্রামে ফলে গ্রামের সাথে শহরের একটা অর্থনীতির সুসম্পর্ক আছে।
ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ বাজার সম্প্রসারণে উৎসবকন্দ্রেকি অর্থনীতি ব্যাপ্তি দিন দিন বাড়ছে বলে মনে করছনে বিশ্লেষকরা। সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট টিভি