খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ২৮ জুন, ২০১৭: কুমিল্লার লাকসাম বিএনপির ২ শীর্ষ নেতা সাবেক এমপি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম হিরু ও পৌর বিএনপির সভাপতি ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির পারভেজ গুমের ৩১ মাস গতকাল মঙ্গলবার (২৭ জুন) জুড়ে স্থানীয় বিএনপি ২ গ্রুপের ভিন্নরকম কর্মসূচী পালনে তৃনমূল নেতা-কর্মী এবং রাজনৈতিক পরিমন্ডলে নানাহ কথাবার্তা নিয়ে বির্তকের ঝড় উঠেছে।
গতকাল সাবেক এমপি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কর্ণেল (অবঃ) আনোয়ারুল আজিমের নেতৃত্বে ওই ২ নেতার গুম দিবস উপলক্ষে পালন করেছে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া দিবস। কয়েক ঘন্টার অনুষ্ঠানমালায় এ অঞ্চলের গণমানুষের প্রিয় নেতা হিরু-পারভেজের অনুপস্থিতিতে স্তব্দ হয়ে পড়ে এলাকার অলিগলি এবং অপহৃতদের কয়েক হাজার রাজনৈতিক সহকর্মী ও ভক্তরা। নীরবে নিঃস্তব্দে কেঁদেছে অনুষ্ঠানে স্থলে আসা এ অঞ্চলের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। দিনব্যাপী কর্মসূচীর মধ্যে অপহৃতদের বাড়ীতে পারিবারিকভাবে কোরআনখানি, মিলাদমাহফিল, দুস্থ্যদের মাঝে খাবার বিতরণ ও দোয়া-মুনাজাতসহ নানাহ কর্মসূচী।
অপরদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি চৈতী আবুল কালামের নেতৃত্বে ওইদিন প্রায় দেড় শতাধিক মোটর সাইকেলের বহর নিয়ে এলাকার প্রধান সড়কে শো-ডাউন করে বনার্ঢ্য আয়োজনে ঈদ পুর্নমিলনী অনুষ্ঠান পালন করে। স্থানীয় বিএনপির দু’গ্রুপের গতকালের শোকাহত দিনে ভিন্নরকম কর্মসূচী পালনে দলের আনুষ্ঠানিক বিভক্তি জানান দিয়েছে আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর ভোটের রাজনীতিতে করুন পরিনতির চিত্র। আজ নিজেরাই যেন নিজেদের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশেষ করে গতকালের এ দিনে ওই ২ র্শীষনেতা নিখোঁজের ৩১ মাস পূর্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মীদের আত্মচিৎকার যেন মূহুর্তের মধ্যে স্তব্দ করে দেয় অনুষ্ঠানকে এবং বার বার কানে ভেসে আসছে নিখোঁজদের স্বজন আর ভক্তদের আত্মচিৎকার ও আহাজারি। এছাড়া স্থানীয় বিএনপির গতকালের শোকাহত দিনে দু’গ্রুপের নাটকীয় এবং চাটুকারিতার রাজনীতিকে মানতে পারছে না এলাকার মানুষ এবং মনে হচ্ছে বিএনপির রাজনীতি এক গ্রুপ সোনার বাংলা আর অপর গ্রুপ জয়বাংলার আদোলে টিসু পেপারে পরিনত হয়েছে বলে অভিমত তৃনমূল নেতাকর্মীদের।
গত ২৭ নভেম্বর ২০১৩ সালে যৌথ বাহিনীর পরিচয়ে সাদা পোশাকে ওই শীর্ষ নেতাকে তুলে নিয়ে যায়। দীর্ঘ ৩১ মাস পার হলেও ওই ২ নেতার সন্ধান আজও দিতে পারেনি আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কোন সংস্থার লোকজন। এ ব্যাপারে লাকসাম থানায় ডায়েরী ও কুমিল্লার বিজ্ঞ আদালতে মামলা হলেও গতি নেই তদন্ত কাজ কিংবা মামলার কর্মকান্ডে অভিযোগ অপহৃতদের স্বজনদের।