খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ২৮ জুন, ২০১৭: তৃতীয় আরেক দেশে পরীক্ষা করিয়ে আকাশপথে ইউরোপে পণ্য রপ্তানি করতে হচ্ছে বাংলাদেশের। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিস্ফোরক শনাক্তকরণ যন্ত্র-ইডিএস না থাকাই এর মূল কারণ।
ফলে রপ্তানিকারকদের নষ্ট হচ্ছে সময়, বাড়ছে খরচ। তারা বলছেন- দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া না হলে বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়বে রপ্তানি খাত।
তৈরি পোশাকের অর্ধেকের বেশি রপ্তানি হয় ইউরোপে। এর মধ্যে প্রায় ১৫ শতাংশ যায় আকাশপথে। এছাড়াও আম, কাঁঠাল, পাট, চামড়াজাত পণ্য যায় ইউরোপে। সব মিলিয়ে প্রতি মাসে প্রায় ৩০ হাজার টন পণ্য আকাশপথে ইউরোপে যায়।
আগে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরীক্ষা করালেই পণ্য ঢুকতে পারতো বিশ্ব বাজারে। কিন্তু ইউরোপিয় ইউনিয়নের বিধি নিষেধের কারণে এ মাস থেকে তৃতীয় দেশে পরীক্ষা করতে হচ্ছে। ফলে প্রতি কেজি পণ্যে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ১২ টাকা। এছাড়া পরিবহনে সময় বেড়েছে ৩ দিন।
বিমান বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়ার পেছনে সিভিল এভিয়েশনের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন রপ্তানিকারকরা। এতে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি ইমেজ সংকটে পড়ছে বাংলাদেশ।
গত বছর যুক্তরাজ্য ও জার্মানি বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর শাহজালাল বিমানবন্দরে নিরাপত্তা তদারকির দায়িত্ব পায় ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান রেড লাইন। -তথ্যসূত্র : ইনডিপেনডেন্ট টিভি