খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ২৮ জুন, ২০১৭: আত্মীয়দের নানা ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় টিনেজারদের। এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তারা অস্বস্তিতেও পড়ে। কেমন হতে পারে সেসব প্রশ্ন আসুন জেনে নেই।
‘এখন তোমার ছেলে বা মেয়ে বন্ধু কে? তোমরা বিয়ে করছো কবে? এত মোটা হলে কিভাবে?’ এমন সব প্রশ্ন টিনেজারদের সমস্যায় ফেলে। এ বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার ফেডলে আনোয়ার তার ফেরবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘মাঝে মাঝে মনে হয় তারা তাদের সব সীমা অতিক্রম করে ফেলছেন। মনে হয় বলি নিজের চরকায় তেল দিন’।আরেকজন বলেছেন, ‘এই প্রশ্নগুলো যেন চিরন্তন…’
ইন্দোনেশিয়ার মনোবিজ্ঞানী রোজলিনা ভেরাউলি বলেন, এসব প্রশ্ন সমন্বিত সংস্কৃতির অংশ। এসব প্রশ্ন করেই খুব কাছের বিষয়টি বোঝায় আত্মীয়রা। প্রশ্ন শুনেই এটা মনে করা ঠিক হবে না আত্মীয়রা চাপ দিচ্ছেন। স্থানীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা থাকলে তাহলে প্রশ্নগুলো স্বাভাবিকভাবেই নেওয়া যায়। আমাদের উচিত একসঙ্গে থাকা ও অনুভব করা যে আত্মীয়রা আমাদের খুব কাছের। এজন্য ২০ বছর পর নয় অন্তত প্রত্যেক বছর আত্মীয়দের সঙ্গে আমাদের দেখা করা উচিত।
ভেরাউলি বলেন, তার মানে এই প্রশ্নগুলো করা ঠিক তা নয়। কারণ ব্যক্তিগত বিষয় সবার সামনে আলোচনা করা কিংবা এ বিষয়ে প্রশ্ন শোনাটাও অস্বস্তিকর। তাই ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলার আগে সবাইকে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এই মনোবিজ্ঞানীর মতে, ‘খাবার কেমন ছিল? নতুন সাজে তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে’ এ ধরনের কথা বলা যেতে পারে। এভাবে তাদের সঙ্গে একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠার পরই হয়তো অন্য প্রশ্ন করা যাবে। প্রথম দেখাতেই খুব ব্যক্তিগত প্রশ্ন করা উচিত নয়।
সবার সঙ্গে একইভাবে কথা বলা যাবে না। বয়স অনুযায়ী কথা বলতে হবে বলে জানান রোজালিনা। তিনি বলেন, ‘বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলার সময় তাদের শখ ও কি করতে ভালোবাসে তা নিয়ে কথা বলতে হবে। তারা কোনো প্রতিযোগিতায় টিকেছে কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন করা ঠিক হবে না। এ ধরনের কথায় তারা মনে আঘাত পেতে পারে।’
অস্বস্তিকর প্রশ্নে উত্তর দেওয়ার সময়ও কিছু বিষয় মাথায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন মনোবিজ্ঞানীয় পিংকান রুমন্দর। তিনি বলেন, ‘মিথ্যা বলে সত্য কথা বলতে হবে। যদি কোনো প্রশ্নের উত্ত দিত না চান তাহলে হেসে বা এ বিষয়ে কথা বলতে চান বলে বলতে হবে। অথবা প্রসঙ্গ পরিবর্তনের চেষ্টা করতে হবে।’ সূত্র: বিবিসি।