খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন, ২০১৭: বর্তমান সময়ে হার্ট অ্যাটাকের শংকা অনেক বেশি। প্রায়ই শোনা যায় হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। হার্ট যখন অপর্যাপ্ত ও অনিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালন করে তখনই অ্যাটাক হয়। অ্যাটাকের আগের লক্ষণগুলো সম্পর্কে যত বেশি জানা যাবে, ততই আগাম সতর্ক হওয়া যাবে। তবে নিজের বা অন্য কারোর হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক করলে হাসপাতালে নেওয়ার আগ পর্যন্ত কিছু নিয়ম মানলে অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
সাধারণ লক্ষণ
* অ্যাটাকের শুরুতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাম হাতে ব্যথা দেখা দেয়। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়
* বুকে ব্যথা হবে এমন নিশ্চয়তা নেই
* অ্যাটাকের আগে চোয়ালে তীব্র যন্ত্রণা হলে বেশি সাবধান হতে হবে
* বমি বমি ভাব অথবা অসম্ভব ঘাম হতে পাারে।
নিজের ক্ষেত্রে যা করবেন
*হার্ট অ্যাটাক হলে ভয় পাবেন না।
*অ্যাটাকের ১০ সেকেন্ডের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ১০ সেকেন্ডের মধ্যে খুব দ্রুত জোরে ও ঘন ঘন কাশি দিন, কাশির সঙ্গে কফও বের করে আনার চেষ্টা করুন।
*প্রতিবার কাশি দেওয়ার আগে দীর্ঘশ্বাস নিন। এভাবে ঘন ঘন কাশি ও দীর্ঘশ্বাস প্রতি দুই মিনিট পর পর করতে থাকুন। এতে আপনার হার্ট কিছুটা হলেও নিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালন করবে। কারণ দীর্ঘশ্বাসের ফলে মানুষের শরীরে অক্সিজেন পরিবহন বেশি হয়। আর ঘন ঘন ও জোরে কাশি দেওয়ার ফলে বুকে যে চাপের সৃষ্টি হয় এতে করে হার্ট পর্যাপ্ত ও নিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালনের জন্য প্রস্তুত হয়।
অন্য কেউ আক্রান্ত হলে
* আক্রান্তকে ঝিমিয়ে পড়তে দেবেন না; বরং তার সঙ্গে কথা বলতে থাকুন।
* রোগীর মাথা ৩০-৪৫ ডিগ্রি উঁচু করে শুইয়ে রাখুন, যাতে তাঁর শ্বাস নিতে সুবিধা হয়।
* রোগীকে শুইয়ে দুই হাতের তালু পরস্পর আলিঙ্গনাবদ্ধ (ইন্টারলক) করে কার্ডিয়াকপালমানারি রিসালিটেশন (সিপিআর) পদ্ধতিতে পুরো শরীরের ভর দিয়ে ঠিক বুকের মাঝখানে পাম্প করুন। মুখে মুখে দম দিন, নিন। এভাবে ১৬-১৮ সেকেন্ডের মধ্যে ৩০ বার পাম্প করুন।
* রোগীর নাক বন্ধ করে থুতনি উঁচু করে ধরুন। ফের বুকে পাম্প করুন। পুরো সাইকেলটা কমপক্ষে পাঁচবার করুন।
* এসব করতে করতে রোগীকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিন।