খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ৩ জুলাই, ২০১৭: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সুইস ব্যাংক শুধু বাংলাদেশ না সারা পৃথিবীতে থেকে দুর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনীতিক নেতারা, তালিকা প্রকাশ করে। তাদের অবৈধ আয় সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত রাখে।
খালিদ মহিউদ্দীনের সঞ্চালনায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘সুইস ব্যাংক গণতন্ত্র’ বিষয়ক আলোচনা তিনি একথা বলেন। এছাড়া ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাভোকেট জয়নুল আবেদিন।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সুইস ব্যাংকে অর্থ পাচার বিষয়টি অর্থ মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দুইবার এজেন্ডায় এসেছি। আর অর্থপাচার বিষয়ে আমাদের অবস্থা দৃঢ়। অর্থ মন্ত্রনালয় ও ব্যাংকিং বিভাগে এটা রোধে অনেকগুলো সুপারিশ করেছি। অর্থ মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত স্থায়ী কমিটির থেকে আমরা শুধু সুপারিশই করতে পারি আর কিছু না। এ সর্ম্পকিত বৈঠকে মাননীয় অর্থমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। স্থায়ী কমিটির প্রায় মিটিংয়ে সুইস ব্যাংকে অর্থপাচার নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আমাদের দেশের প্রবাসীদের অনেক কষ্টের টাকা পাচার হচ্ছে। যেটা কিনা আমাদের দেশের ছেলেরা রোদে পুড়ে কষ্ট করে উপার্জন করেন। অনেক কষ্ট করে তারা রেমিট্যান্স পাঠায়, পোশাক খাতের টাকা, যেটা অনেক কষ্ট করে উপার্জন করেন থাকে। এই মূল্যবান টাকা অন্য দেশে চলে যায়। বৈঠকে আমি উত্তর কোরিয়ার কথা উদাহরণ দিয়ে বলেছি। ৬০দশকে জীবনযাত্রার মান,মাথাপিছু আয়, অর্থনীতিক-সামাজিক বিবেচনায় পিছিয়ে ছিলো আমাদের দেশ থেকে। কোরিয়া থেকে তখন পড়তে আসতো অনেক ছাত্ররা। সেই দেশটি আজ শিল্প উন্নত দেশে পরিণত হয়েছে। অর্থপাচারের সাজা ছিলো অর্থ জরিমানা। তাদের একটা নীতি ছিলো যে অর্থ উর্পাজন হবে সেটাকে বৈদেশিক মুদ্রায় ক্যাপিটাল আইটেম আমদানি করতে খরচ করতে হবে।
আর আমাদের দেশে যারা এত কষ্ট করে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে। এই টাকা চুরি করে একদল অসাধু নাগরিক মালেয়শিয়া, সিঙ্গাপুর বাড়ি বানাচ্ছে। আর সুইস ব্যাংক অর্থ জমা রাখছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সুইস ব্যাংক শুধু বাংলাদেশ না সারা পৃথিবীতে থেকে দুর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনীতিক নেতারা তাদের অবৈধ পথে আয় করা অর্থ পাচার করে সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত রাখে।