Wed. Apr 23rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

45kখােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০১৭: গাজীপুরে কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় আরেকজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হলো ১০ জন। এদের আটজনের পরিচয় জানা গেছে।

এদিকে, বয়লার বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় কারখানায় দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। সকালে দুর্ঘটনাস্থল থেকে আরেকজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে গাজীপুরের কাশিমপুরে নয়াপাড়া এলাকায় মাল্টিফ্যাবস লিমিটেড নামে একটি কারখানার বয়লার বিস্ফোরিত হয়। এ সময় কারখানার দেয়াল ও যন্ত্রপাতির নিচে চাপা পড়ে অন্তত নয়জন শ্রমিক নিহত হন। আহত হন অর্ধশত।

নিহত যাঁদের পরিচয় পাওয়া গেছে তাঁরা হলেন, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের মঞ্জুরুল হক, একই এলাকার আবদুস ছালাম, বগুড়ার সালকিন হোসেন, মাহাবুবুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের হাবিবুর রহমান, রাজবাড়ীর বিপ্লব চন্দ্র শীল, চাঁদপুরের গিয়াস উদ্দিন ও প্রকৌশলী আমিরুল ইসলাম পায়েল।

আজ মঙ্গলবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বিধ্বস্ত ভবনে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। কারখানা এলাকার সামনে ভিড় করছেন নিহতের স্বজন ও নিখোঁজ কয়েকজন শ্রমিকের স্বজনরা। কারখানা এলাকায় নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস বিভাগ জানায়, মাল্টিফ্যাবস কারখানার তিনতলা ভবনের নিচতলায় বয়লার বিস্ফোরণে ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হন অন্তত ৫০ জন।

কারখানা এলাকার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া এ ঘটনায় আশপাশের অন্তত ১০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

কয়েকজন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে এমন দাবি করে কারখানা ফটকে অবস্থান করছেন তাঁদের পরিবার-পরিজনরা।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত সুপার নূর আলম বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করছে পুলিশ। নিরাপত্তার স্বার্থে মাল্টিফ্যাবসের আশপাশের আট থেকে ১০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, একটি লাশও যেন এখানে পড়ে না থাকে সে জন্য উদ্ধার অভিযান চলবে। শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার পরই অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হবে।

এদিকে, এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) মো. রাহেনুল ইসলাম জানিয়েছেন, নিহত ১০ জনের মধ্যে ছয়জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। তদন্ত কমিটি আজ থেকে তদন্তকাজ শুরু করেছে। আগামী সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।