খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০১৭: অবৈধ শ্রমিক বিরোধী আন্দোলনে আতঙ্কিত মালয়েশিয়ায় কর্মরত প্রবাসী শ্রমিক ও তাদের পরিবার। তবে আগেভাগে উদ্যোগ নিলে এই সংকট এড়ানো যেতো বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। বৈধ হতে বাংলাদেশের হাই কমিশনারের উদ্যোগ পর্যাপ্ত ছিলনা বলেও মনে করেন তারা। আর এ অবস্থায় আতঙ্কিত না হয়ে বৈধ হওয়ার সুযোগ নিতে হাই কমিশনে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। আর এ অভিযানে শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল ভাবে আমাদের একটা ইমেজ সংকট বলেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
অবৈধ শ্রমিকদের বৈধ করতে রিহ্যায়ারিং ও ইনফোর্সমেন্ট কার্ড কর্মসূচি চালু করেন মালয়েশিয়া। কিন্তু জুন পর্যন্ত এই সুযোগ নিয়েছে মাত্র ২০ শতাংশ । বাকি প্রায় ৮০ শতাংশ। এরপরই বেধে দেয়া সময় শেষ হলে অবৈধ শ্রমিকদের ধরতে অভিযান শুরু করে মালয়েশিয়ার সরকার । গ্রেফতারও হয়েছেন প্রায় ২ হাজার জন এদের মধ্যে বাংলাদেশি প্রায় সাতশর উপরে।
ই-কার্ড কর্মসূচির মাধ্যমে বৈধ হওয়ার সুযোগ থাকলেও এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদ্যোগ পর্যাপ্ত ছিলনা বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বায়রার সাবেক মহাসচিব, আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, এটাকে আমারা আরো আগেথেকে হ্যান্ডেল করিনি কেনো ? এটা আমাদের প্রশ্ন, এটা করবে কে। প্রশ্ন হলো আমাদের দূতাবাস সেখানে কতোটা একটিভ ছিলো।
এখানে আমরা একটা বড় ধরণের তথ্যের ঘাটতি লক্ষ করছি এবং খেশারত কিন্তু শ্রমিকদেরকেই দিতে হচ্ছে। কাজেই আমরা এটা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। কাজেই এটা যথাযথ তলিয়ে দেখা দরকার । একটা বড় অংশ বাংলাদেশি শ্রমিকরা কিন্তু অর্থ ব্যয় করার পরও নিয়মিত হতে পারেননি দেশে ।
দেশটিতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি আটকে শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার পাশাপাশি সুনাম ক্ষুন্ন হওয়ার আশঙ্কার কথা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সি আর আবরার চৌধুরী।
বায়রার সাবেক মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, যতোজন আটক হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়েবেশি বাংলাদেশি। এটা ইন্টারন্যাশনাল ভাবে আমাদের একটা ইমেজ সংকট। এছাড়া আমরা যারা বৈধভাবে বাইরে লোক পাঠায় তাদের জন্য এটা একটি বিব্ররতকর বিষয়।
বৈধ হওয়ার জন্য শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক প্রচারণা চালনো হয়েছে বলে দাবি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের।
দেশটিতে অবস্থিত কর্মীদের এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত না হয়ে হাইকমিশনে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন বিএমইটির মহাপরিচালক সেলিমা রেজার ।
সূত্র : যমুনা টিভি