খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০১৭: ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার চার ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের বাসিন্দাদের বিভক্তকারী নদীটির নাম খিরু। এই ১৫ গ্রামের বাসিন্দারের চলাচলের রয়েছে একটি মাত্র নড়বড়ে বাশের সাঁকো।
নদীর এপারে ডাকাতিয়া ও মল্লিকবাড়ী ওপাড়ে মেদুয়ারী এবং উথুরা ইউনিয়ন। দু’পাড়ের বিশাল এই জনগোষ্ঠির মাঝে রয়েছে গভীর সম্পর্ক। সবার উপজেলা একই, শিক্ষা-দীক্ষা, বাজার-ঘাট, কেনাকাটা সবই হয় একসঙ্গে। তবুও তারা দুই পারের বাসিন্দা।
নদীর উপরে একটি সেতু নির্মাণ না হওয়াই দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন চার ইউনিয়নের প্রায় ২লাখ মানুষ। সেতুর আশায় ওই মানুষগুলোর শুধু যুগের পর যুগই চলে যায়নি, চলে গেছে কয়েক শতাব্দী। একটি মাত্র সেতুর অভাবে এ অঞ্চলের মানুষগুলো রয়েছে অনেক পিছিয়ে। পাঁচগাঁও ভয়রাটেকে খিরু নদীর উপর সেতু নির্মাণ হলে দু’পারের বাসিন্দাদের জীবন মানের উন্নতি হবে বলে মনে করছেন ওই অঞ্চলের জনসাধারণ।
সরজমিনে ওই এলাকার জনসাধারণ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে মল্লিকবাড়ী বাজার ঘেঁষে খিরু নদীর উপর ভয়রাটেকের এই ঘাটে সরকারীভাবে ঘাট ডেকে এনে স্থানীয়রা বাঁশের সাঁকো ও বর্ষায় পানি বেড়ে গেলে নৌকা করে মানুষ পারাপার করে। পারাপারে জন্য দিতে হয় ৫/১০ টাকা। নদীর এপারে রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রাইমারী স্কুল, কলেজ, দাখিল মাদ্রাসা, মহিলা মাদ্রাসা, ও কয়েকটি কিন্ডার গার্টেন স্কুল। প্রতিদিন এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার সাধারন জনগন ঝুঁকিপূর্ণ ওই সাঁকো বা নৌকা দিয়ে যাতায়াত করেন। এছাড়া হঠাৎ কেউ অসুস্থ হলে রোগী বহনের কোনো যানবাহন পারাপারেরও ব্যবস্থা নেই। যার ফলে খিরু নদীর ভয়রাটেকে একটি সেতু নির্মাণের জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
ডাকাতিয়ার ইউনিয়নের কাতলামারী, পাঁচগাঁও। মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের মল্লিকবাড়ী, ভায়াবহ, গোবুদীয়া, নয়নপুর, সোনাখালী, চাঁনপুর। মেদুয়ারী ইউনিয়নের পানিবান্ডা, সোয়াইল। উথুরা ইউনিয়নের মরচী, নারাঙ্গী গ্রামসহ অন্যান্য এলাকার বাসিন্দারা যাতায়াত করেন এ পখে।
স্থানীয় পানিভান্ডা গ্রামের ফাইজুল ইসলাম জানান, সেতুটি হলেই আমরা পরিপূর্ণতা পেতাম এবং আমাদের বহুদিনের কষ্ট লাগব হতো ।
ভ্যানচালক মনির মিয়া বলেন, প্রতিবার নদী পার হতে আমার গাড়ী বাবদ ২০টাকা করে দিতে হয়।
এ বিষয়ে এলজিইডি ভালুকা কার্যালয়ের উপজেলা প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম বলেন,এখানে একটি সেতুর জন্য প্রস্তাবনা দেওয়া আছে।
সেতুটির বিষয়ে ময়মনসিংহ ১১ আসনের সাংসদ সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ এম. আমান উল্লাহ বলেন, আশা করছি চলতি অর্থ বছরেই সেতুটির কাজ শুরু হবে।