খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৭: ইসলামী সম্রাজ্যের প্রাণকেন্দ্র, মুসলিম উম্মার খেলাফতের স্মৃতিবিজড়িত দেশ তুরস্ক। অভিশপ্ত কামাল পাশা এক সময় মুসলিম উম্মার ঐক্যের প্রতীক তুরস্কের খেলাফতের আলখেল্লা ছিন্ন করে ফেলে। সেখানে পাশ্চাত্যের কালচার চাপিয়ে দেয় মুসলিমদের ঘাড়ে। আরবীতে আযান দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়। টুপি আইনানুগভাবে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। জোরপূর্বক হ্যাট পরানো হয়। কিছু আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন মুসলমান হ্যাট পরতে না চাইলে তাদের সাথে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়। এতে অসংখ্য মুসলমানের মস্তক উড়িয়ে দেওয়া হয়। কুরআন নিষিদ্ধ করা হয়। স্বৈর কামালের পতনের সাথে সাথে মুসলমানরা আমরা জেগে ্ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় দুঃসাহসী এরদোগান। মুসলিম উম্মাহ আশার আলো।
বর্তমানের তুরস্কে সরকারিভাবে নিবদ্ধিত কোরআনে হাফেজের সংখ্যা এক লাখ আটাশ হাজার। সরকারি বিভিন্ন মাদ্রাসায় হিফযুল কুরআন বিভাগে বর্তমানে ৭০ হাজার ছাত্র পড়াশোনা করছে। আর এসব ছাত্রদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে ৫ সহ¯্রাধিক শিক্ষক। তুরস্কের ধর্মীয় বিষয়ক সেক্রেটারিয়েটের শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা বিনইয়ামিন এলবেরাক জানিয়েছে, ১৯৭৬ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত তুরস্কে মোট হাফেজের সংখ্যা ১ লক্ষ আটাশ হাজার।
বার্তা সংস্থা আনাদুলুর সাথে আলাপকালে বলেন, তুর্কী জাতি জন্মলগ্ন থেকেই কুরআনের প্রতি গুরুত্বারোপ করে আসছে। বর্তমানেও তা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরোও বলেন, বিগত কয়েক বছরে কুরআন হিফযের সনদ গ্রহণ করেছে প্রায় ৬৫ হাজার। এর আগে ২০১৫ তে ছিল ৬ হাজার, ২০১৪ তে ছিল ৫ হাজার ৫০০।
বিনইয়ামিন আরোও বলেন, গ্রীষ্মকালীন সময়ে কুরআনের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এসব কর্মশালায় ৩ মিলিয়ন তুর্কি শিশু অংশগ্রহণ করে। সেখানে তারা কুরআন শিক্ষাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করে। কর্মশালার সংখ্যা প্রায় ৭৭ হাজার। সূত্র আনাদুলু এজেন্সি ।