Tue. Apr 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৭:  52কম বয়সে চুল পেকে যাওয়ার চুলের রঙ ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে পরেন অনেকেই। এছাড়াও চুলের স্টাইলের জন্যও চুলের রঙ ব্যবহার করছেন তরুণরা। চুলের রঙ হতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ। এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকিও বেড়ে যেতে পারে চুলের রঙ ব্যবহারের কারণে।

কী থাকে চুলের রঙে?
চুলের রঙে থাকে নানান ক্ষতিকর কেমিক্যাল। এর মধ্যে পি পি ডি, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, অ্যামোনিয়া, প্যারাবেন্স, লিড অ্যাকটেট এবং রিসরসিনল অন্যতম। এই উপাদানগুলোর মধ্যে সবচাইতে ভয়ানক উপাদান হলো পিপিডি। দ্য অ্যামেরিকান ক্যানসার সোসাইটির গবেষণায় দেখা যায় পিপিডি মানুষের ডিএনএ সেল নষ্ট করে ক্যানসারের কোষ উৎপন্ন করতে পারে। এমনকি কেমিক্যালটি হরমোনের ভারসাম্যও নষ্ট করে দিতে পারে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

ফুসফুসের সংক্রমণ
চুল পড়ে যাওয়া
অ্যালার্জি
মাথার ত্বকে চুলকানি
গলা জ্বালাপোড়া
ত্বকে দাগ হয়ে যাওয়া
ত্বক লালচে হয়ে চুলকানো
চোখ চুলকানো ও জ্বালাপোড়া
চুলের শুষ্কতা
সাবধানতা

চুলের রঙ যেন ত্বকে না লাগে সেই দিকে লক্ষ্য রাখুন। চুলে রঙ দেওয়ার সময় অবশ্যই গ্লাভস ব্যবহার করুন।
ঘন ঘন চুলের রঙ ব্যবহার করবেন না। লম্বা বিরতি দিয়ে রঙ ব্যবহার করুন।
চুলের রঙের ক্ষেত্রে সেমি পার্মানেন্ট কিংবা টেম্পোরারি রঙ ব্যবহার করুন। এগুলোতে ক্ষতিকর কেমিক্যালের পরিমাণ কিছুটা কম থাকে।

কখনই আইব্রো, আইল্যাশ কিংবা দাঁড়ি রঙ করবেন না। এতে চোখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে চিরতরে এবং ত্বকে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রাকৃতিক রঙ ব্যবহার করুন। মেহেদি পাতা বাটার সঙ্গে চায়ের লিকার কিংবা কফির লিকার ব্যবহার করে রঙ গাড় করে নিতে পারেন। প্রাকৃতিক রঙ চুলের কোনো ক্ষতি করে না। এনডি টিভি।