Tue. Jun 17th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

raj

খােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৭:  দেশের বৃহত্তম দল বিএনপি গত নির্বাচন বর্জন করলেও এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা বলে আসছে। তবে তাদের দাবি, সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।

কোনোভাবেই তারা শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবেন না। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের দাবি মানবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।

তবে বিএনপি মনে করে, ক্ষমতাসীনরা তাদের দাবি মানতে বাধ্য এবং বিএনপিকে ছাড়া আগামী নির্বাচন হবে না। তাই এরই মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে আসনভিত্তিক সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা করছে বিএনপি। প্রাথমিকভাবে ৩০০ আসনের জন্য ৯ শতাধিক প্রার্থীর তালিকা করেছে দলটি। এই তালিকায় চলবে আরো সংযোজন বিয়োজন।

বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা জানান, সরকার দলের হেভিওয়েট প্রার্থীদের মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাচনের অযোগ্য করার ষড়যন্ত্র করছে। তাই প্রার্থী সংকট এড়াতে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় ১ম, ২য় ও ৩য় ক্যাটাগরিতে নাম রাখা হচ্ছে।

দলে অনেক সিনিয়র ও জনপ্রিয় নেতা রয়েছেন। প্রত্যেকেই জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে চান। তবে যোগ্য প্রার্থীদেরই দল মনোনয়ন দেবে বলে জানান তারা।

বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে প্রতিবেদনের এ পর্বে থাকছে রাজশাহী বিভাগের প্রার্থী তালিকা।

এই বিভাগের ৮ জেলার ৩৯টি সংসদীয় আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন:

রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী): সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত সচিব জহুরুল ইসলাম ও জেলা বিএনপির সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক সাজেদুর রহমান মারকনি।

রাজশাহী-২ (রাসিক): সাবেক এমপি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু।

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর): সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবির হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কামরুল মনির, বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টু ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন।

রাজশাহী-৪ (বাগমারা): জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সাবেক এমপি অধ্যাপক আব্দুল গফুর ও জেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু।

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর): সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফা, সাবেক এমপি আবদুস ছাত্তার মন্ডল, জেলার সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম মন্ডল ও পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জুম্মা ও ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা আবু বকর সিদ্দিক।

রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট): বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও চারঘাট উপজেলার চেয়ারম্যান আবু সাইদ চাঁদ, বাঘা উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুজ্জামান খান মানিক, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বজলুর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন।

নাটোর-১ (লালপুর ও বাগাতিপাড়া): বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা নয়ন ও ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম টিটু।

নাটোর-২ (সদর): জেলা বিএনপির সভাপতি রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, তার স্ত্রী জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন।

নাটোর-৩ (সিংড়া): জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সাবেক এমপি কাজী গোলাম মোরশেদ ও সিংড়া পৌর বিএনপির সভাপতি শামিম আল রাজী, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু।

নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম): রুহুল ককুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাবেক এমপি জেলা বিএনপির সভাপতি মোজাম্মেল হক, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক ও স্থানীয় নেতা আ. আজিজ।

পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়ার আংশিক): সাবেক এমপি মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের, স্থানীয় বিএনপি নেতা আব্দুল আজিজ ও কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আমিনুর।

পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার আংশিক): সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট একেএম সেলিম রেজা হাবিব, অ্যাবের মহাসচিব হাসান জাফির তুহিন ও বেড়া থানা বিএনপির সেক্রেটারি।

পাবনা-৩ (চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর): সাবেক সাংসদ কেএম আনোয়ারুল ইসলাম ও বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান ফখরুল আযম, সাবেক ছাত্র নেতা মাসুদ খন্দকার।

পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া): চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলাম সরদার, ইশ্বরদী থানা বিএনপির সভাপতি সামশুদ্দিন মালিথা।

পাবনা-৫ (সদর): বিএনপি চেয়ারপাসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।

বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দী ও সোনাতলা): বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও বগুড়া জেলা বিএনপির উপদেষ্টা শোকরানা, সাবেক এমপি কাজী রফিকুল ইসলাম রফিক।

বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ): বগুড়া জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মীর শাহ আলম, ডা. ফিরোজ ও বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এম আর ইসলাম স্বাধীন।

বগুড়া-৩ (আদমদিঘী-দুপচাঁচিয়া): বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মোমিন তালুকদার খোকা, বগুড়া সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হামিদুল হক হিরু।

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম): বগুড়া জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা আলী মুকুল, জেলার সহ-সভাপতি অ্যাড. রাফি পান্না ও জেলার সদস্য মোশাররফ হোসেন।

বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট): বগুড়া জেলা বিএনপির উপদেষ্টা জানে আলম খোকা, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান হারিস ও সাবেক এমপি গোলাম মোহাম্মাদ সিরাজ।

বগুড়া-৬ (সদর): বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাহজাহানপুর): বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু ও গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিনুর রহমান তালুকদার।

জয়পুরহাট-১ (সদর ও পাঁচবিবি উপজেলা): সাবেক এমপি জেলা বিএনপির সভাপতি মোজাহার আলী প্রধান, সহ-সভাপতি ফজলুর রহমান ও নির্বাহী কমিটির সদস্য ফয়সাল আলিম।

জয়পুরহাট-২ (আক্কেলপুর, ক্ষেতলার ও কালাই): সাবেক এমপি জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাবেক সচিব আব্দুল বারি ও যুগ্মসম্পাদক আলী হাসান মুক্তা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ): জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক শাহজাহান মিঞা, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল-গোমস্তাপুর-ভোলাহাট): ভোলাহাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আসিফা আশরাফী পাপিয়া।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশিদ।

নওগাঁ-১ (সাপাহার-পোরশা ও নিয়ামতপুর): সাবেক এমপি নিয়ামতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডা. সালেক চৌধুরী, নওগাঁ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও সাপাহার উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর নুর।

নওগাঁ-২ (ধামইরহাট-পত্নীতলা): সাবেক এমপি বিএনপির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শামসুজ্জোহা খান ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি খাজা নাজিবুল্লাহ চৌধুরী।

নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী): সাবেক ডেপুটি স্পিকার ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. আকতার হামিদ সিদ্দিকী, বদলগাছী উপজেলা বিএনপি সভাপতি ফজলে হুদা বাবুল ও সাবেক ছাত্র নেতা রবিউল আলম বুলেট।

নওগাঁ-৪ (মান্দা): সাবেক এমপি মান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি শামসুল আলম প্রামানিক, নওগাঁ জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক ডা. একরামুল বারী টিপু ও সহ-সভাপতি আলম চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল মতিন।

নওগাঁ-৫ (সদর): জেলা বিএনপির সভাপতি নজমুল হক সনি ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু।

নওগাঁ-৬ (রাণীনগর-আত্রাই): বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা কর্নেল (অব.) আব্দুল লতিফ খান ও বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন বুলু।

সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ সদরের একাংশ): উপজেলা বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা তালুকদার, জেলা বিএনপির সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, সদস্য টিএম তহজিবুল এনাম তুষার ও কণ্ঠশিল্পী কনক চাঁপা।

সিরাজগঞ্জ-২ (সদরের একাংশ ও কামারখন্দ): দলের ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। কোন কারণে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে তার সহধর্মিনী ও জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ।

সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ): সাবেক এমপি আব্দুল মান্নান তালুকদার, বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম শিশির, তাড়াশ উপজেলা বিএনপি নেতা খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর, উপজেলা চেয়ারম্যান আইনুল হক ও ঢাকা আইনজীবী ফোরামের নেতা অ্যাড. গোলাম মোস্তফা।

সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া): সাবেক এমপি এম. আকবর আলী, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কাজী কামাল, নারী নেত্রী অ্যাড. সিমকী ইমাম, যুবদলের সদস্য আব্দুল ওয়াহাব, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শামসুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা কে.এম. শরফউদ্দিন মঞ্জু ও থানা বিএনপির সভাপতি মতিয়ার রহমান সরকার।

সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি ও চৌহালী): দলের সহ-প্রচার বিষয়ক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের ও চৌহালী উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মামুন।

সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর): এ আসনে থেকে সাবেক এমপি কামরুদ্দিন এহিয়া খান মজলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার, সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত ডা. এম.এ. মতিনের ছেলে চিকিৎসক এম.এ মুহিত।