খােলা বাজার২৪।। শুক্রবার, ১৪জুলাই, ২০১৭: উচ্চ আদালতের দেয়া নির্দেশনার ছয় মাস পরেও প্রেসক্রিপশনে স্পষ্ট ও বড় করে লেখার বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না ডাক্তাররা। চলতি বছরের ৯’ই জানুয়ারি একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে রোগীদের ব্যবস্থাপত্র স্পষ্ট ও বড় করে লেখার বিষেয়ে উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়। প্রত্যাশা ছিল এতে রোগী বা স্বজনরা লেখা মিলিয়ে ঔষধ কিনতে পারবেন। বছরের অর্ধেক সময় পেরিয়ে গেলেও কিছুই পরিবর্তন হয়নি। অধিকাংশ চিকিৎসক আগের মতই ব্যবস্থপত্র লিখছেন। এতে প্রায় সময় বিপাকে পরতে হচ্ছে ফার্মেসি কর্মকর্তা ও ঔষধ সংগ্রহ করতে আসা রোগীদের।
একজন ঔষধ বিক্রেতা বলেন, প্রেসক্রিপশনে অনেকসময় এমন অস্পষ্টভাবে লেখা থাকে রোগীরা তো দূরের কথা আমরাও বুঝতে পারিনা। কোন ঔষধের নাম লেখা হয়েছে সেটা জানার জন্যে অনেকসময় আবার রোগীদেরকে ডাক্তারের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
প্রেসক্রিপশনে অস্পষ্ট লেখা অনেকসময় শিক্ষিতরাও বুঝতে পারেননা।
ঔষধ কিনতে আসা একজন বলেন, আমি যতটুকু লেখাপড়া করেছি সে হিসেবে স্পষ্ট লিখলে প্রেসক্রিপসন পড়তে পারতাম। কিন্তু অস্পষ্ট লেখার কারণে কিছুই বুঝতে পারিনা।
আরেকজন বলেন, ডাক্তাররা কোন ঔষধের নাম লিখছেন বা ফার্মেসি থেকে সঠিক ঔষধটি দিচ্ছে কি না তা বুঝতে পারছিনা। ফার্মেসিগুলা যা ঔষধ দেয় আমরা বুঝে না বুঝে সে ঔষধ খেয়ে থাকি। আমাদের কিছু করার থাকেনা।
হাসপাতাল গুলোতে নোটিস পাঠিয়ে ও পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েই দায়িত্ব সেরেছেন কর্মকর্তারা। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ঠিকই মানা হচ্ছে বলে তারা দাবি করছেন।
বিএমডিসির রেজিস্ট্রার ডা. জেড এইচ বসুনিয়া বলেন, আমাদেরকে বিজ্ঞপ্তি দিতে বলা হয়েছিল আমরা সেটা করেছি। এখানে মনিটরিংয়ের বিষয়টি এখনো আসেনি।
রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতেও একই অবস্থা চলছে বলে জানা গেছে। স্পষ্ট করে লিখতে গেলে রোগী দখার সময় মেন্টইন করা যাবেনা বলে দাবি করছেন চিকিৎসকরা।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মোজাহারুল ইসলাম বলেন, একজন ডাক্তার আউটডোরে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০০-২৫০ রোগী দেখেন। এ অবস্থায় যদি ধীরে ধীরে প্রেসক্রিপশন লেখতে হয় তবে নির্দৃষ্ট সময়ে এত রোগী দেখা সম্ভব হবেনা।
বড় অক্ষরে লেখার আইনি বাধ্যবাধকতা তুলে নিতে আইনীপথে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল।
সূত্র : যমুনা নিউজ