খােলা বাজার২৪।। শুক্রবার, ১৪জুলাই, ২০১৭: কীর্তনখোলা নদীর চরকাউয়া পয়েন্টে ফ্লাইএ্যাশবাহী জাহাজ ও তেলবাহী ট্যাংকারের সংঘর্ষে তেল ছড়িয়ে পরেছে নদীতে।
শুক্রবার সকাল আটটায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দুটি নৌ-যান ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হলেও কি পরিমান ডিজেল নদীতে ছড়িয়ে পরেছে তা এই মুহুর্তে বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দুর্ঘটনার শিকার ট্যাংকার এমটি ফজরের মাস্টার জামসেদুর রহমান।
মেঘনা গ্রুপের ফ্লাইএ্যাশবাহী কার্গো জাহাজ এমভি মা-বাবার দোয়া-২ এর স্টাফ মোঃ এরশাদ বলেন, তারা ভারত থেকে মংলা বন্দর হয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে ¯্রােতের কারণে তেলবাহী ট্যাংকারের সাথে তাদের জাহাজের সংঘর্ষ হয়। এসময় নদী বন্দরে অবস্থান করা পারাবত-১২ লঞ্চের পেছনেও ধাক্কা লাগে। এ দূর্ঘটনায় তার কার্গোর প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
দুর্ঘটনার শিকার ট্যাংকার এমটি ফজরের মাষ্টার জামসেদুর রহমান বলেন, তারা ঢাকা থেকে ডিজেল ও পেট্রোল নিয়ে বরিশাল যমুনা ডিপোতে আসছিলেন। তাদের ট্যাংকারে তিন লাখ লিটার পেট্রোল ও সাড়ে নয় লাখ লিটার ডিজেল ছিলো।
তিনি আরও জানান, কার্গো জাহাজ তাদের ট্যাংকারে স্বজোরে ধাক্কা দিলে ডিজেল চেম্বারের বাম পাশের অংশ ফেটে কিছু ডিজেল নদীতে ছড়িয়ে পরেছে। তারা দ্রুত ডিজেল অন্য চেম্বারে ছাড়িয়ে নিয়েছেন। তারপরেও ক্ষতির পরিমাণ তেল ওঠানোর আগে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছেনা বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মোঃ হানিফ জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গেলেও তেমন কোন উদ্ধার কাজ করতে হয়নি। তবে নদীর অনেক জায়গায় তেল ভাসতে দেখা গেছে। এ দূর্ঘটনার ফলে বরিশাল নদী বন্দর এলাকা থেকে দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদীতে তেল ছড়িয়ে পরেছে। এতে ওই এলাকার প্রায় দেড়শতাধিক লোককে নদী থেকে তেল উত্তোলন করতে দেখা গেছে। বান্দ রোডের বাসিন্দা হালিম ফকির জানান, তিনিসজ স্থানীয় জনতা প্রায় দুই শতাধিক ব্যারেল ডিজেল এ যাবত (বিকেল চারটা) পর্যন্ত নদী থেকে উত্তোলন করেছেন।
বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভিকের দায়িত্বে থাকা উপ-পরিচালক মোঃ রফিকুল ইসলাম সেলিম বলেন, খবর পাওয়ার পর তারা ঘটনাস্থলে এসে দুর্ঘটনার শিকার দুটো জাহাজ তারা নিরাপদস্থানে নোঙর করিয়ে রেখেছেন। তিনি আরও বলেন, দূর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে পরবর্তীতে জানানো হবে।