Tue. Apr 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০১৭: 2ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সৃষ্ট বন্যার পানি তিস্তা নদীর গজলডোবা ব্যারাজ হয়ে নামছে বাংলাদেশে। ফলে বাংলাদেশের জামালপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জসহ উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যার সৃষ্টি হয়। এসব এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। গতকাল থেকে এসব জেলার কিছু কিছু এলাকায় পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও বেড়েছে দুর্ভোগ। পানিতে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে রাজবাড়ী, ফরিদপুরের বেশ কিছু এলাকা। বন্যায় পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন সাধারণ মানুষ। বাড়িঘর ছেড়ে অনেকে বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছেন। অনেক এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যার্তরা প্রয়োজনীয় ত্রাণ না পেয়ে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
বন্যার পানিতে ডুবে গতকাল জামালপুরের বকশীগঞ্জে দুই শিশু মারা গেছে, পানির চাপে গত বৃহস্পতিবার রাতে সিরাজগঞ্জের শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙে গেছে, গাইবান্ধার ৭০টি পরিবার ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে বাড়িঘর সরিয়ে নিয়েছে।

জামালপুর : জামালপুরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা ছাড়াও ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাইসহ জামালপুর জেলার সব শাখা নদীর পানি বেড়েই চলেছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যমুনা নদীর পানি ৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
সব নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সব মিলিয়ে জেলার ৭ উপজেলার ৪৫ ইউনিয়নের দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানি ঢুকে পড়ায় ইতোমধ্যে জেলার ৩১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিদিন পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগের মাত্রাও বেড়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকার বেশিরভাগ মানুষের ঘরে খাবার নেই। বিশুদ্ধ পানির অভাবে দুর্গত এলাকায় ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে।
জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রাসেল সাবরিন জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ১৩০ মেট্রিক টন চাল, ৩ হাজার ২০০ প্যাকেট শুকনা খাবার ও আড়াই লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
তবে দুর্গত এলাকার বেশিরভাগ মানুষের অভিযোগ, এখনো তারা কোনো ধরনের ত্রাণসহায়তা পাননি।
বকশীগঞ্জ উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে পৃথক স্থানে দুই শিশু মারা গেছে। গতকাল দুপুর ২টার দিকে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের আট্টাকান্দি এবং বাঁশচড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের আট্টাকান্দি গ্রামের মো. দুলু মিয়ার ছেলে আলিফ (৫) বাড়ির উঠানে খেলা করছিল। খেলার কোনো এক সময় বাড়ির চতুর্দিকের বন্যার পানিতে আলিফ পড়ে যায়। পরে আলিফের মৃতদেহ ভেসে উঠলে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এদিকে প্রায় একই সময়ে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের বাঁশচড়া গ্রামের মজনু মিয়ার দুই বছর বয়সী মেয়ে মুবাসশিরা বাড়িতে ঢুকে পড়া বন্যার পানিতে পড়ে মারা যায়।
সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের বাহুকা এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নবনির্মিত রিং বাঁধের প্রায় ৩০ মিটার ভেঙে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় আকস্মিক এ বাঁধ ভেঙে যায়। বাঁধ ভাঙার খবরে বাহুকাসহ আশপাশের এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এলাকার হাজারো মানুষ স্বেচ্ছায় শ্রম দিয়ে বাঁধ রক্ষার কাজ করে যাচ্ছেন। এদিকে বাঁধ ভেঙে অভ্যন্তরের বাহুকা, চিলগাছা, ইটালী, ভেওয়ামারা ও গজারিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা বন্যার পানিতে সয়লাব হয়েছে। রাতেই স্থানীয়রা বাঁধ মেরামতে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ শুরু করেন। গতকাল শুক্রবার সকালে সেনাবাহিনীর ১১ পদাতিক ডিভিশনের রিভার কোরের মেজর সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে সেনাসদস্যদের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদার নিয়োগ করে বাঁধ সংস্কারে কাজ শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে বালিভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙা অংশ মেরামত করা হবে। পরে মাটি ফেলে তা সংরক্ষণ করা হবে। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানিয়েছেন, দুপুরের মধ্যেই ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামত করা সম্ভব হবে। এতে আতঙ্কের কিছু নেই। তবে যমুনায় বানের পানি কমতে শুরু করায় মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। পানি উন্নয়ন বিভাগের বগুড়া অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বাবুল চন্দ্র শীলও বাঁধের ভাঙা অংশে দাঁড়িয়ে কাজের সার্বিক পরিস্থিতি তত্ত্বাবধান করছেন।
বাঁধ ভাঙার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে এলাকার মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেছেন, বাঁধের ভাঙা অংশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংস্কার এবং বাঁধের অভ্যন্তরের ক্ষয়ক্ষতি যাতে কম হয় সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নদনদীতীরবর্তী চর ও দ্বীপচরসহ জেলার ৭ উপজেলার ৪২ ইউনিয়নের ৫ শতাধিক গ্রামের ৩ লক্ষাধিক মানুষ আট দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগে দিন যাপন করছেন। বন্যাকবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির সংকট। বানভাসি পরিবার ঘরের ভেতর উঁচু মাচা তৈরি করে তাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন করছে। দেখা দিয়েছে পশুপাখির খাদ্যের তীব্র সংকট। জেলায় ২ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান গত বৃহস্পতিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বন্যার্তদের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ৪০০ মেট্রিক টন চাল, ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৪ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ২৪ ঘণ্টা ধরলা পয়েন্টে ২৬ দশমিক ৪৬, তিস্তা কাউনিয়া পয়েন্টে ২৮ দশমিক ৭৬, নুনখাওয়া ব্রহ্মপুত্র পয়েন্টে ২৬ দশমিক ৮২, চিলমারী ব্রহ্মপুত্র পয়েন্টে ২৪ দশমিক ৩৪ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে।
গাইবান্ধা : গাইবান্ধা জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার পানিবন্দি মানুষরা খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাসহ নানা সমস্যায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের গো-ঘাট, ফুলছড়ির কুচখালি, হারোডাঙ্গা, কাবিলপুর এলাকা অব্যাহত ভাঙনে এখন বিপন্ন। এর মধ্যে ব্যাপক ভাঙনে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বন্যার পানির স্রোতে কামারজানি ইউনিয়নের কলমু এসএমসি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দেবে গেছে। শুধু তা-ই নয়, নদীভাঙনে কামারজানির গোঘাট এলাকায় বসবাসরত প্রায় ৭০টি পরিবার তাদের বাড়িঘর সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে গেছে। এ ছাড়া বন্যার পানির তীব্র স্রোতের কারণে ফুলছড়ি উপজেলার সিংড়িয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি চরম হুমকিতে রয়েছে। জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল তাৎক্ষণিক ভাঙন উপদ্রুত ৭০টি পরিবারের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ বিতরণ করেন।
চার উপজেলার ব্যাপক এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়ায় ৩ লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সরকারিভাবে যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে তা চাহিদার তুলনায় নগণ্য। কোনো রাজনৈতিক দল, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বা এনজিওকে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করতে দেখা যায়নি। ফলে বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষ জনপ্রতিনিধিদের ওপর চরম অসন্তুষ্ট হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামছুল আলম হীরু বলেন, সরকারি ত্রাণ তৎপরতার সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও কাজ করছেন। তবে শিগগিরই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে রিলিফ বিতরণ করা হবে বলে তিনি জানান। জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান ম-ল জানান, আমরা এখনো ত্রাণ তৎপরতায় বন্যা উপদ্রুত এলাকায় যেতে পারিনি। তবে শিগগিরই দুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হবে। অপরদিকে জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রশিদ সরকার জানান, বৃহস্পতিবার তিনি ফুলছড়ির দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন। এদিকে বন্যার পানির কারণে এরই মধ্যে সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও গাইবান্ধা সদর, উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ১৪১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি খুব একটা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ১৮ লাখ টাকা, ৩২৫ মেট্রিক টন চাল এবং ৪ হাজার শুকনা খাবারের প্যাকেট ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া গেছে। তা বিতরণের কাজ চলছে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ২৪১ হেক্টর জমির পাট, আউশ ধান, আমন বীজতলা ও শাকসবজি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রাজবাড়ী : রাজবাড়ী জেলার তিনটি গেজ স্টেশন (পানি পরিমাপের) পয়েন্টের মধ্যে একটি পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। অস্বাভাবিক হারে এ পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার অনেক নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চাল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন নদীতে পাহড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হলেও পদ্মায় পানি বাড়ার খবর এই প্রথম। আর এতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ওই এলাকার অসংখ্য মানুষ। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার মহেন্দ্রপুর গেজ স্টেশন পয়েন্টে ৩৯ সেন্টিমিটার, পাংশার সেনগ্রাম গেজ স্টেশন পয়েন্টে ৩৬ সেন্টিমিটার ও গোয়ালন্দে দৌলতদিয়া গেজ স্টেশন পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে তিনটি পয়েন্টের মধ্যে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া গেজ স্টেশন পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও রাজবাড়ী সদর উপজেলার মহেন্দ্রপুর গেজ স্টেশন পয়েন্টে ৩৪ সেন্টিমিটার ও পাংশার সেনগ্রাম গেজ স্টেশন পয়েন্টে ৩৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফরিদপুর : ফরিদপুরে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ১২ ঘণ্টায় পদ্মার পানি গোয়ালন্দ পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার বেড়ে এখন তা বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে ফরিদপুর জেলার পদ্মাতীরবর্তী নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল, ডিক্রিরচর এবং চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক, চরহরিরামপুর, ঝাউকান্দা ইউনিয়নের বেশিরভাগ নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার বেশিরভাগ মানুষ হুমকির মুখে রয়েছেন। নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান মোস্তাক জানান, দ্রুতগতিতে পানি বাড়ার কারণে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাচ্ছে। যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে করে কয়েক দিনের মধ্যে নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের বেশিরভাগ বাড়িতে পানি ঢুকে পড়বে। ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানান, কয়েক দিন ধরে পদ্মার পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিনই ১০-১৫ সেন্টিমিটার করে পানি বাড়ছে। তিনি জানান, জেলার সদর, চরভদ্রাসন, সদরপুর ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া জানিয়েছেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সব সময় প্রস্তুত এবং সর্তক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বলে তিনি জানান। আমাদেরসময়