মান্না বলেন, সরকার ভাবছে বিএনপির মতো যদি নতুন একটি নির্বাচনী জোট হয়, তা হলে বিষয়টি মোকাবিলা করা কঠিন হবে। সে চিন্তা থেকে হয়তো বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে। মূলত রাজনৈতিক কারণে বাধা দেয়া হয়েছে। তারা আমাদেরকেও ভয় পাচ্ছে। বৈঠকে অংশ নেয়া রাজনীতিবিদরা মনে করেন দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনাই এখন বড় কাজ। এ কাজে অন্য রাজনৈতিক জোটের সাথে ন্যূনতম কর্মসূচির মাধ্যমে কাজ করতে একমত পোষণ করেন তারা। এখন বাম ডান বড় কথা নয়। দেশে গণতন্ত্র দরকার, এটি আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। সে আলোচনা প্রাধান্য পায় আন্দোলন এবং নির্বাচন। নির্বাচনটাও আন্দোলনের অংশ হতে পারে। এক নির্বাচন (৭০ এর নির্বাচন) বাংলাদেশের ইতিহাস বদলে দিয়েছে। সে রকম নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য নতুন একটি ইতিহাস রচনা করতে পারে।
আমরা দু’টো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি জানিয়ে মান্না আশংকা প্রকাশ করে বলেন, সরকার এমন আচরণ করছে দেখে মনে তারা কখনোই ক্ষমতা ছাড়বে না। বিএনপির অবস্থা দেখে মনে হয় আওয়ামী লীগের অধিনে তারা নির্বাচন করবে না। এ বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মান্না বলেন, যদি সরকার বিবেচক হন তাহলে একটা গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমুলক নির্বাচনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় সবাই। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি এ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। চলতি মাসের শেষে আবারো আমরা বৈঠকে বসব ভবিষ্যত করণীয় ঠিক করতে। এটি একটি চলমান রাজনৈতিক প্রক্রিয়া। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের বাইরে বিকল্প নির্বাচনী জোট গঠনের কাজ শুরু করেছি।