Wed. Apr 23rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৭:  11গর্ভাবস্থায় মায়েদের ওপর প্রতিকুল পরিবেশ, মানসিক চাপ, অনিরাপদ খাদ্যগ্রহণ ও জীবনযাত্রার ব্যস্ততার প্রভাব পড়ছে নবজাতকদের ওপর। যেসব শিশু লো বার্থ ওয়েট অথবা স্বাভাবিকভাবে জন্ম নিচ্ছে সেসব শিশুদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে জীবাণু সংক্রামণ, অপুষ্টি ও অঙ্গহীনসহ নানা জটিলতা। শিশু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জন্মের আগে নবজাতকের মায়ের জন্য নিশ্চিত করতে হবে নিরাপদ খাদ্য ও স্বস্তিপূর্ণ পরিবেশ।

সাত মাস মায়ের গর্ভে থাকার পর জন্মের কিছু সময় পর থেকেই শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও জন্ডিসের লক্ষণসহ নানা জটিলতা দেখা দেয় শিশুটির। কিন্তু হাসপাতালে এনআইসিইউ র বেড না থাকায় শিশুটিকে নিতে হবে অন্য কোন হাসপাতালে।

টার্ম বেবিদের সমস্যার মধ্যে শ্বাসকষ্ট নিয়ে জন্ম নিতে পারে অনেক শিশু। এছাড়া প্রসবের পর যে কোন সময় জীবাণু সংক্রামণের কারণে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। এছাড়া মায়ের যদি ডায়াবেটিস বা হার্টের রোগ, উচ্চ রক্তচাপের মতো ক্রনিক কোন রোগ থাকে তবে নবজাতকের ঝুঁকির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে কয়েকগুণ। বেশিরভাগ সময় এসব শিশুদের জন্য প্রয়োজন হয় এনআইসিইউ।

শিশু বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিদিনের ব্যস্ততা আর পারিপার্শ্বিক প্রতিকুল পরিবেশের কারণে নানা সমস্যা নিয়ে নবজাতকদের জন্ম নেয়ার হার বাড়ছে।

এদিকে পরিবেশ দূষণ, খাবারে বিষক্রিয়া , পরিবারের কোন ব্যক্তির তামাক গ্রহণসহ নান কারণে মায়ের মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় থাকা শিশুর টিস্যুসহ অন্যান্য অর্গান তৈরিতে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।

আসগর আলী হাসপাতাল মেডিকেল সার্ভিসেস পরিচালক প্রফেসর জাবরুল এসএম হক বলেন, ‘নানা কারণে এবং গভাবস্থায় থাকাকালীন মা নেশাগ্রস্ত কিছু গ্রহণ করে ফলে শিশুর রক্তনালী দিয়ে শিমুটির ক্ষতি করে।’

পাশাপাশি জন্মের আগেই গর্ভবতী মায়েদের সুস্থতা নিশ্চিত করতে নিয়মিত পরীক্ষা নিরীক্ষা ও যদি কোন জটিলতা থাকে তা দূর করার বিষয়ে পারিবারিক সচেতনতা আরো বাড়ানো জরুরী বলে মনে করেন শিশু বিশেষজ্ঞরা।

সূত্র : সময় টিভি