Wed. Apr 23rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৭:  15বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বিএনপি যে সহায়ক সরকারের রুপ রেখা দিবে সেখানে ইতি-নেতিবাচক দুই সাইড থাকবে। নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ রাখা যাবে, সরকারও নিরপেক্ষ থাকবে।

সময় টেলিভিশনের নিয়মিত অনুষ্ঠান সম্পাদকীয়তে হোমওয়ার্ক বিষয়ক আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করন। এছাড়া ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়দ সাকি।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ২০১৪ সালের ভোট না দেওয়ার সুযোগবিহীন নির্বাচন। যে নির্বাচনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি,প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিন হয়েছেন। কিন্তু সাধারণ জনগণ ভোট দেওয়ার সুযোগ পাইনি। অথাৎ ১৫৪ আসন বিনা প্রতিদ¦ন্দ্বীতে নির্বাচন হয়ে গেছে। সেই জায়গা থেকে আওয়ামী লীগ এবার ফেরত আসার চেষ্টা করছে সামনের নির্বাচনে এমন না হয় । আগের নির্বাচনের মত আর নির্বাচন হবে না। বর্তমান সরকারের দলীয় যেসব সভা হচ্ছে সেখানে সাধারণ সম্পাদক ও সভানেত্রীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে অংশগ্রহণমূলক নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চাই তারা। একইভাবে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনীতিক দলগুলোকে সবাই যাতে নির্বাচনে অংশ নেয় । ২০১৪ সালের মত ভোটারবিহীন নির্বাচন না। এটা ইতিবাচক দিক রাজনীতিক দলগুলোর জন্য।

এক প্রশ্নের জবাবে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল আরও বলেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে যেটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করছে। সেখানে নির্বাচন কমিশন, সরকার, সরকারের সাথে রাষ্ট্রীয় সহযোগী প্রশাসন আছে তারা নিবাচন কমিশনকে প্রভাবিত করতে চেষ্টা করেছে। যেটা আগেই আমরা দেখেছি। গতকাল আমাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়েছে সেখানে একটা কথায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘আজকের যিনি প্রধানমন্ত্রী, তার এই ক্ষমতাবহাল থাকলে সেই নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে আর বিএনপি সেই নির্বাচনে যাবে না’ । বিএনপি যে সহায়ক সরকারের রুপ রেখা দিবে সেখানে ইতি-নেতিবাচক দুই সাইড থাকবে। নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ রাখা যাবে, সরকারও নিরপেক্ষ থাকবে।

নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার কি তত্ত্ববধায়কসরকারের নতুন নাম কি না জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, না এটা তত্ত্ববধায়কসরকারের নতুন নাম না। এটা যেভাবে দেখা হোক আমরা এটাকে সংস্করণ বলতে পারি। চিন্তা-ভাবনার মধ্যে নিরপেক্ষতা রয়েছে। কিন্তু নামের দিক থেকে হয়ত ভিন্ন। আর আমাদের কাছে খবর আছে নির্বাচন কমিশন কিছু আইন পরিবর্তন করতে যাচ্ছে সেটা যেনো না হয়। যেমন আগে এক সরকারী কর্মকর্তা অবসরের তিন বছর পরে নিবাচনে অংশ নিতে পারবে। এই আইনটি পরিবর্তক করে অবসরের সাথে সাথে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। এটা নিয়ে আমরা আসংকিত আছি। কারণ ২০১৪ সালে নির্বাচনে যারা প্রশাসনিক দায়িত্বে ছিলেন। তাদের সিনিয়ররা যদি নির্বাচনে অংশ নেয়। তাহলে এখন যারা প্রশাসনের দায়িত্বে তাদের জুনিয়ররা আছে। তারা নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের প্রতি আনুগত্য থাকবে। এই আইনটা যেনো পাস না হয় সেজন্য আমরা চেষ্টা করছি।

নির্বাচন কমিশনের অনেকগুলো কাজ কমিশনারদের মধ্যেভাগ করে দেওয়া হয়েছিলো। তার মধ্যে এক জনের দায়িত্ব ছিলো পদায়ন, বদলি করে দেওয়া। তার অজান্তে কয়েকশ পদে বদলি, পদায়ন করা হয়েছে। এই যেসব নির্বাচনের ভেতরে হচ্ছে এগলো সরকারের পরোক্ষ চাপ অথবা সরকার সমর্থক অতি উৎসাহী কেউ এটা করিয়েছে।