Tue. Apr 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৭:  60বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ড জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি দেশের তালিকায় রেখে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দারিদ্র বিমোচেনে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সাহায্য করেছে এমন অসাধারণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অনেকটা পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নিতে পারে পরিবেশ বিপর্যয়। গত শুক্রবার এ প্রতিবেদন দেয় এডিবি।

জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট পরিবেশগত বিপর্যয় রোধে ২০১৫ সালে এডিবি আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আহবান জানায়। এর বাইরে এডিবি ২ বিলিয়ন ডলার নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনে বিনিয়োগের আহবান জানিয়েছিল। বন্যা, সমুদ্রের উচ্চতা বেড়ে যাওয়া, খরা, জলোচ্ছাস ও ঘূর্ণিঝড় যার অনেকটাই মানুষের তৈরি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যে হয়ে থাকে।

প্রতিবেদনে বলা হয় ক্রমাগত জীবাশ্ন জালানীর ব্যবহারে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সমুদ্রের উচ্চত বাড়ছে, বৃষ্টির সময় ও পরিমাণে পরিবর্তন ঘটছে যা একই সঙ্গে জীবনযাত্রায় মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি ছাড়াও যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে অস্থিতিশীল জলবায়ু পরিবর্তন। ফলে কয়েক দশকের উন্নয়ন অগ্রগতিতে তা যথেষ্ট হয়ে ওঠেনি। শিল্পদূষণের ফলে তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে না পারলে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এশিয়ার দেশগুলোর গরিব মানুষ। এজন্যে বিশ্ব উষ্ণতা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামিয়ে আনা জরুরি।

এডিবির প্রতিবেদনে বলা হয়, উষ্ণতা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। যা অনেক দেশের পক্ষে সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না। বিপর্যয়ের পাশাপাশি পর্যটন ও মৎস খাত ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অতিরিক্ত বরফ গলায় বন্যা ও খরা কৃষিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভরতা বাড়লেও সময়মত তা পাওয়া না গেলে কৃষিতে ফসলহানি হবে ব্যাপক।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, তাপমাত্রা হ্রাস করা না গেলে ২০৫০ সাল নাগাদ বছরে এশিয়ায় ৫২ হাজার বয়স্ক মানুষ মারা যাবে। একই সময়ে ডায়রিয়ায় আরো ৮ হাজার ও ১০ হাজার মানুষ মারা যাবে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রোগে। আবহাওয়াগত এধরনের বিপর্যয় শুধু এশিয়ায় সরবরাহ ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না বরং বিশ্বের অন্যস্থানের সঙ্গেও তা বিপর্যয়ের সৃষ্টি করবে। গত ২৫ বছরে এশিয়ায় মাথাপিছু আয় ১০ গুণ বৃদ্ধি পেলেও পরিবেশগত বিপর্যয়ের কারণে এখনো এ অঞ্চলে বিশ্বের অধিকাংশ গরিব মানুষ বাস করছে।