খােলা বাজার২৪।। রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৭: মালয়েশিয়ায় অবৈধ বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তার আপাতত বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগের কারণে এটা বন্ধ হয়েছে বলে রোববার মন্ত্রণালয়ে এক সেমিনারে দাবি করেন তিনি।
জনশক্তি রপ্তানিখাতে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফর বাংলাদেশি মাইগ্র্যান্টস (আরবিএম) ‘মালয়েশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ চাইলেও মালয়েশিয়ার সরকারের অবস্থানের কারণে সেখানকার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, “মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট বাংলাদেশ সরকার করেনি, করেছে মালয়েশিয়ার সরকার। বাংলাদেশ সরকার তাদের প্রায় ১ হাজার ১০০ এজেন্সির তালিকা পাঠিয়েছে। কিন্তু তারা সেখানে মাত্র ১০টি জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে কাজ করার অনুমোদন দিয়েছে। ১০টিতে রাজি না হলে তারা তাদের বাজার আবার বন্ধ করে দিতে পারত। তাই আমরা এ নিয়ে আর কোনো কথা বলিনি।
মন্ত্রী বলেন, তাদের দেওয়া সময় অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত অবৈধদের বৈধতার জন্য সময় রয়েছে। কিন্তু তারা হঠাৎ করেই অভিযান শুরু করেছে। এরপরই সরকারের পক্ষ থেকে তাদের জানানো হলে, তারা অভিযান বন্ধ করে।
মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বৈধ কাগজপত্রহীন শ্রমিকদের বৈধভাবে পুনঃনিয়োগের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত চার মাস ধরে ই-কার্ডের আবেদন নেওয়া হয়, যার সময় শেষ হয় ৩০ জুন।
এরপর ১ জুলাই অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়। প্রথম দিনের অভিযানেই ৫১৫ জন বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের আটক করা হয়।
তবে মালয়েশিয়ায় অবৈধ প্রবাসীদের বাংলাদেশ হাই কমিশন থেকে পাসপোর্ট ও রিহায়ারিং সম্পন্ন করে বৈধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে হাই কমিশন কর্তৃপক্ষ।
গত ১ জুলাই শনিবার বাংলাদেশ হাই কমিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) হেদায়াতুল ইসলাম মন্ডল বলেন, ৩০ জুন ই-কার্ড দেওয়া বন্ধ হলেও রিহায়ারিং চালু থাকবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। যারা ই-কার্ড পেয়েছেন তাদের দ্রুত বাংলাদেশ হাই কমিশন হতে পাসপোর্ট করে রিহায়ারিং সম্পন্ন করে বৈধ হতে হয়।
অভিবাসন বিষয়ক রিপোর্টারদের সংগঠন আরবিএম সভাপতি ফিরোজ মান্নার সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের নির্বাহী সদস্য মহসীনুল করিম। আরবিএম সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বায়রার যুগ্ম-মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান, সাবেক মহাসচিব রিয়াজুল ইসলাম, মনসুর আহমেদ কালাম ও বায়রার সহ-সভাপতি আবদুল হাই বক্তব্য দেন।
সূত্র : ইন্ডিপেনডেন্ট ও একুশে টিভি