মির্জা আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশন যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন, আমরা মনে করি এটা কোনো বড় বিষয় বা প্রধান সঙ্কট নয়। প্রধান সঙ্কট হচ্ছে আদৌ নির্বাচনটা কিভাবে হবে? নির্বাচনে সরকারের কি অবস্থায় থাকবে? নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা কি থাকবে? এই মুহূর্তে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের বড় প্রয়োজন বলে মনে করে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সহায়ক সরকারের বিষয়ে কোনো আলোচনা না করে এই রোডম্যাপ দিয়ে কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। দেশে সঙ্কট নিরসন হবে না। নির্বাচনের জন্য রোড তো থাকতে হবে। এখন পর্যন্ত আমরা কোনো রোড দেখতে পাচ্ছি না। সুতরাং ম্যাপ তো পরের প্রশ্ন। এটি একটি স্পর্শকাতর বিষয়। আমাদের সিনিয়র নেতা এবং নেত্রীর সাথে কথা বলে দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
রোড ম্যাপ প্রকাশে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্য খুব ভালো উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারও বলছেন, নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে চাই, সহায়তা করতে চাই। কিন্তু প্রকৃত দৃশ্য তো দেখছেন, আমরা কোনো সভা করতে পারি না।
শনিবার নেত্রী বিদেশে যাবার সময় আমাদের সিনিয়র নেতাদের রাস্তায় দাঁড় করে রাখলো। এই পরিবেশ, পরিস্থিতিতে আদৌ নির্বাচনের পরিবেশ আছে কি না সেটাও সবার আগে দেখতে হবে। আমরা বার বার বলছি সঙ্কট টা একটি রাজনৈতিক সংকট। রাজনৈতিকভাবে আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে। নির্বাচন কমিশন কোনো আলোচনা না করেই একক ভাবে একটি রোড ম্যাপ দিয়ে দিলেই সমস্যা সমাধান হবে না।
নির্বাচন কমিশনের ডাকা আলোচনায় বিএনপি অংশ গ্রহণ করবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক, নিয়মতান্ত্রিক যতগুলো পদ্ধতি আছে, সেগুলোতে আমরা যেতে চাই। এটা নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের সদিচ্ছার উপরে। তারা আমাদের সে পথে যেতে দিতে চায় কি না?
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।