Wed. May 14th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

imagesখােলা বাজার২৪।। সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০১৭: রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার এলাকাবাসী নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতে অতিষ্ট হয়ে তারাগঞ্জ সাব-জোনাল অফিসে ঘেরাও করে। গতকাল সোমবার সকাল ১০ টায়
উপজেলাবাসী নানা দুর্নীতির অভিযোগে তারাগঞ্জ সাব- জোনাল পল্লী বিদ্যুৎ অফিস- ২ গিয়ে অভিযোগ জানাইতে চাইলে এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি করে। এলাকাবাসীর অভিযোগ বেশ কয়েকদিন ধরে তারাগঞ্জের বিদ্যুতের অবস্থা বেশ নাজেহাল। প্রায় সময় অভিযোগ করে কোন সুফল পাওয়া যায় না। এলাকাবাসীর দাবী নির্দিষ্ট সময় প্রয়োজনে বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না আবার বিদ্যুৎ বিলের বেলায় দিতে হচ্ছে ব্যবহারের দুই থেকে তিন গুন রিডিং এর টাকা। এ বিষয়ে সমাধান পেতে গেলে তারাগঞ্জে সাব- জোনাল অফিসে ওয়ান পয়েন্টে গ্রাহকে আবেদন করতে হয়। পরে অফিসে বিভিন্ন সেক্টরে একাধিক বার ঘুরে কোন সমাধান পাওয়া যায় না। বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে বাড়তি যে টাকা দিতে হচ্ছে তার কোন সমাধান নেই। নানা ভাবে এ সমস্যায় প্রতিনিয়ত এলাকাবাসী শিল্প বাণিজ্যিক আবাসিক প্রতিটা মিটারে বাড়তি রিডিংয়ের টাকা দিতে হচ্ছে। অফিসের কর্মকর্তাদের কাছে একাধিক বার অভিযোগ করেও সমাধান পাওয়া যায় না। গোপন সূত্রে জানা গেছে, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের চাপের কারনে বকেয়া পাওনা আদায় বিল রিডিং ম্যানের জন্য এধরনের কার্যক্রম হয়ে আসছে। কুর্শা ইউপি চেয়ারম্যান আফজালুল হক বলেন, আসলে পল্লী বিদ্যুতের নানা সমস্যা রয়েছে। যেমন আমার নিজের মিটারে প্রতি মাসে যেখানে দেড়শত টাকা বিদ্যুৎ বিল দেই সেখানে এ মাসে সাড়ে সাতশত টাকা বিদ্যুৎ বিল দিয়েছে। আমি নিজেই প্রশ্নবিদ্ধ স্থানীয় সরকার হিসাবে আমার তো একটা দায়িত্ব রয়েছে। এছাড়াও নানা দুর্নীতির অভিযোগ আমার কাছে প্রতিনিয়ত আসে। বাড়তি বিলের বিষয়ে তারাগঞ্জ সাব-জোনাল অফিসের বি.এস রাজিয়া সুলতানার কাছে মুঠো ফোনে বর্তমান ও পূর্বের মাসের রিডিং এর হিসাব জানতে চাইলে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন আপনার সাথে পরে কথা হবে। তারাগঞ্জ সাব- জোনাল অফিসের এ.জি.এম.কম ফিরোজ সরকার জানতে চাইলে বলেন, আমি নিজেই নানা সমস্যার মধ্যে আছি। বিগত আমার এই অফিসের কর্মকর্তাগণ যেসব অপকর্ম করেছেন তার খেসারত আমাকে দিতে হচ্ছে। এ প্রতিবেদক আরো কিছু বিষয় জানতে চাইলে ফিরোজ সরকার বলেন আমি একাই আপনার সাথে বিষয় গুলো সেয়ার করবো। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান লিটন বলেন তারাগঞ্জ উপজেলা একটি শান্তি প্রিয় জায়গা। কিছু অফিসারগণ তাদের নিজের খেয়াল খুশিমত অফিস চালায় কাউকে কোন তোয়াক্কা করে না। একাধিক বার বিভিন্ন সমস্যার কথা জানালেও তারা কালক্ষেপন করতে থাকে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী সঠিক আইনের আওতায় এনে তাদের ব্যবস্থা নেওয়া হউক।