Wed. May 14th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০১৭: 94তিস্তা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদের বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গেই গাইবান্ধার নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে ভাঙন শুরু হয়েছে।

ইতোমধ্যে কলমু এফএনসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। রেহাই পাচ্ছে না আবাদী জমি ও সাধারণের বসতভিটা। গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে যাওয়ায় এপর্যন্ত প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছেন কর্তৃপক্ষ।

সোমবার সকাল পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র তীরের একাধিক স্থানে ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে ফসলি জমিসহ শতাধিক ঘড়বাড়ি। হাজারো মানুষ বিভিন্ন বাঁধ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকে খোলা আকাশের নিচে বাস করছেন। ব্যাহত হচ্ছে কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা।

ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি ইউপির চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান জানান, হুমকির মুখে রয়েছে জিগাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জিগাবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়, এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ ও জিগাবাড়ি কমিউনিটি ক্লিনিক।

তিনি আরো বলেন, বন্যার পানি কমার পরেই নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত ২০ দিনের ব্যবধানে ৫০ পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ঘনবসতিপূর্ণ জিগাবাড়ি গ্রামটি ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে।

এ পর্যন্ত জেলার ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার ২৯টি ইউনিয়নে ১’শ ৯০টি গ্রামে ২ লাখ ১০ হাজার বন্যা কবলিত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলায় ২৪টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে সাড়ে ৩ হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছে।

ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২’শ ২৫ মে. টন চাল, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ অধিকাংশ মানুষের।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, জেলার নদ-নদীগুলোর বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। এর ফলে ফুলছড়ির কাতলামারী ও নামাপাড়া এলাকায় ব্যাপক নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি কর্মসূচির অংশ হিসেবে বালুভর্তি এক হাজার জিও ব্যাগ ড্যাম্পিং করার কথা জানিয়েছে।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল জানান, নদীর তীরবর্তী এলাকার ভাঙন ঠেকাতে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।