Tue. Apr 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

nws-001

খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০১৭: নরসিংদীর ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা ও শীতলক্ষ্যা নদী অব্যাহতভাবে দখল ও দূষণের শিকার হচ্ছে। নদ-নদীগুলোতে অবৈধ দখলমুক্ত করতে মাঝে মধ্যে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু অভিযান শেষ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায়। প্রভাবশালীদের অবৈধ দখলে নদীগুলো ছোট হয়ে যাচ্ছে। নদী দখল ও দূষণমুক্ত করার কাজ চলছে ধীর গতিতে। বর্জ্য ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনার কারণে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। পাকিজা টেক্সটাইল, হামিদ টেক্সটাইল, শেকেরচর বাজারের অধিকাংশ ডাইংসহ বিভিন্ন নামকরা কলকারখানার রাসায়নিক দ্রব্য ও বর্জ্যে পানি দূষিত হয়ে বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছে গেছে।

নরসিংদী শহরাঞ্চলের নদ-নদীগুলোর দখল-দূষণ মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও তা কাজে আসছে না। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নথিপত্রে নদীর দখল – দূষণমুক্ত করতে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফিরিস্তি থাকলেও বাস্তবতা ভিন্নরূপ। নদী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে নরসিংদীর চারপাশে কোনো নদীরই অস্তিত্ব থাকবে না।
৩টি নদ-নদীর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদীর অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এ নদীর পাড়ে বিভিন্ন শিল্প-কারখানা গড়ে তুলে এটিকে এমনভাবে দখল করা হয়েছে, যা পরিণত হয়েছে সরু খালে। নদীর সীমানা নির্ধারণে ও যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে না। বেশ কিছু স্থানে নদীর পাড় থেকেও ৭ থেকে ১০ মিটার ভেতরে সীমানা পিলার নির্ধারণ করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষরা, যা বেআইনি।
পানি বিশেষজ্ঞরা বলেন, সবচেয়ে দূষিত নদী বুড়িগঙ্গা। এরপর টঙ্গীর তুরাগ ও নরসিংদীর শীতলক্ষ্যা। রাজনৈতিক কৌশলে এসব নদী দখল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তারা বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে স্থায়ী সীমানা নির্ধারণ করা উচিত সরকারের। নদী দখল ও এর দূষণ প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়গুলোও তাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করছে না বলে মনে করছেন তারা।
নদ-নদীগুলো সম্পূর্ণভাবে দূষণমুক্ত করার লক্ষ্যে ঠিকমতো কাজ করা হচ্ছে না। পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ না করায় দিন দিন নদীগুলো মরে যাচ্ছে ও বিষাক্ত পানির প্রভাবে নদীগুলোতে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে নরসিংদীর নদীগুলো একসময় বিলুপ্ত হয়ে যাবে।