সোমবার রাতে চিঠি দিয়ে ফরহাদ মজহার অপহরণ মামলার বাদি তার স্ত্রী ফরিদা আখতার ও অপহরণের শিকার ফরহাদ মজহারকে বেলা ১১টায় রাজধানীর গোয়েন্দা পুলিশ অফিসে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টায় তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেনসহ কয়েকজন কর্মকর্তা।
এসময় ফরহাদ মজহারকে খুলনায় তার অবস্থানের ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়। জানতে চাওয়া হয়, তারা এসব ফুটেজ দেখেছেন কিনা। ফরহাদ মজহার দম্পত্তি জানান, তারা টেলিভিশনে এসব ফুটেজ দেখেছেন। এসময় পুলিশ কর্মকর্তারা কিভাবে তিনি খুলনা গেলেন তা জানতে চান। ফরহাদ মজহার বলেন, তিনি কিভাবে খুলনা গিয়েছেন, তা তার জবানবন্দিতেই উল্লেখ করেছেন। এর বাইরে তিনি আর কিছুই জানেন না।
ফরহাদ মজহার জবানবন্দিতে বলেছিলেন, সোমবার ফজরের আজানের পরপর চোখের ওষুধ কিনতে ও হাঁটাহাঁটি করতে তিনি শ্যামলীর ঢাকা সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশের ফার্মেসির দিকে যাচ্ছিলেন। হাসপাতাল পার হয়ে গোল্ডেন স্ট্রিটের গলির কাছাকাছি পৌঁছালে পেছন থেকে একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাস তার পাশে এসে থামে। গাড়ি থেকে তখন ৩ জন লোক নেমে এসে তাকে ধাক্কা দিয়ে মাইক্রোবাসে তোলে।
গোয়েন্দা কার্যালয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, তদন্তের আগেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নানা রকম তথ্য দেয়া হয়েছে। তাতে তার অনেক ক্ষতি হয়েছে। যদি জবানবন্দির বাইরে অন্য কোনো তথ্য থাকে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তা খুঁজে বের করুন।
ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আখতার এ প্রতিবেদককে বলেন, ১৬৪ ধারার জবানবন্দির বাইরে আর কোনো নতুন বক্তব্য ফরহাদ মজহার দেননি। তিনি বলেন, আমরা আশা করি, সুষ্ঠু তদন্ত হবে এবং তা মোকাবিলা করতে ফরহাদ মজহার প্রস্তুত রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ফরহাদ মজহার ৩ জুলাই ভোরে রাজধানীর শ্যামলীর বাসা থেকে অপহৃত হন। পরে পুলিশ খুলনা থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকায় নিয়ে আসে। এ দিন তিনি আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি অপহরণের বর্ণনা দেন।