
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আইনমন্ত্রী তো এ ধরনের বহু কথা বলেছেন। বলেন না, নিয়ে আনতে গিয়ে। তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার সক্ষমতা সরকারের নেই। ইন্টারপোল পরিষ্কার বলে দিয়েছে এই ইস্যুতে তারা মাথা ঘামাতে রাজি নন।
নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, বিএনপিতে গৌরব করার অনেক কিছু আছে। লজ্জার কিছু নাই। কিন্তু আওয়ামী লীগে লজ্জিত হওয়ার অসংখ্য ঘটনা আছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য দিনের পর দিন আন্দোলন করেছে আওয়ামী লীগ। এই তত্বাবধায়ক সরকার যখন বিএনপি চাচ্ছে তখন আওয়ামী লীগ বলছে সেটা সংবিধানে নেই। আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নয়, নির্বাচনকালীন একটি সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই।
নির্বাচন কমিশনের নবনিযুক্ত সচিবের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশনকে শুধু নিরপেক্ষ হলেই চলবে না। নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। পাশাপাশি নিরপেক্ষ লোক দিয়েই তা সাজাতে হবে। আর বিএনপিকে নির্বাচনে নিতে হলে সহায়ক সরকারের দাবি মানতেই হবে। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় বিএনপি। আমরা নির্বাচনের মাধ্যমেই রাষ্ট্র পরিচালনা করে পরিবর্তনে বিশ্বাসী।
এর আগে নজরুল ইসলাম খান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন। সকালে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং ফেস্টুন উড়িয়ে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। পরে রাজশাহী মহানগর বিএনপির প্রবীণ নেতাদের কাছে সদস্য নবায়ন ফরম বিতরণ করা হয়।